অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বীমার ভূমিকা অপরিসীম: অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বীমার ভূমিকা অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, একমাত্র বীমার মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। বীমার মাধ্যমে আমরা জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস করে দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে পারি।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ৫ম জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। জাতির পিতার এ স্বপ্ন বাস্তবায়ে এবং দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে দৃশ্যমান হচ্ছে নতুন নতুন মেগা প্রকল্পসমূহ। ইতোমধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, মেট্রো রেল প্রকল্প, রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পের মতো বৃহৎ প্রকল্পগুলোর জন্য বীমা চালু করা হয়েছে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, দারিদ্রের হার কমছে, মাথাপিছু আয় প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দেশে বীমার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশে বীমা শিল্পকে আরো জনপ্রিয় করতে হবে। আর এই লক্ষ্য অর্জনে প্রিমিয়ামের হার কমিয়ে জনসাধারণের জন্য বীমা পলিসি ক্রয়ের বিষয়টি সহজলভ্য করা একান্ত প্রয়োজন। এটি সম্ভব হলে অধিকহারে মানুষ বীমা পলিসি ক্রয় করবে। ফলে বীমার পেনিট্রেশন বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে বীমার অবদান বৃদ্ধি পাবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বস্তরের জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে নতুন নতুন বীমা পরিকল্প তৈরি করতে হবে। এটি করা সম্ভব হলে অর্থনীতে বীমার অবদানও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। দেশের মানুষের মাঝে বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে বীমা কোম্পানিসমূহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে একযোগে কাজ করতে হবে। বীমা সম্পর্কে মানুষের মাঝে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলেই জাতীয় বীমা দিবস উদযাপনের লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি আরো বলেন, বীমা দাবি পরিশোধে বীমা গ্রাহকের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বীমা কোম্পানিসমূহকে কাজ করতে হবে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়ায় ইতোমধ্যে বীমার প্রতি জনসাধারণের আস্থা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত ও কর্মক্ষমত জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে বীমা কোম্পানিগুলো দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। দারিদ্র দূরীকরণ ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বীমা খাত বলিষ্ঠ ভূমিকরা রাখতে পারছে।