উপেক্ষিত বীমা খাত, এবারের বাজেটেও নেই নতুন উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিগত কয়েক অর্থবছরের মতো ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও উপেক্ষিত হয়েছে বীমা খাত। দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম অংশীদার এই বীমা খাতের উন্নয়নে নেয়া হয়নি নতুন কোন উদ্যোগ। করপোরেট কর হারসহ বিভিন্ন ধরণের ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর যেসব দাবি করে আসছেন বীমা মালিকরা তার বাস্তবায়নও নেই দেশের বৃহৎ এই বাজেটে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শিরোনামে নতুন অর্থবছরের বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন করেছে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এই বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী জানান, রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস ও চামড়াজাত পণ্য এবং পাদুকা শিল্পের বেকার ও দুস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতি-২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নীতিমালার আলোকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ২২২ জন বেকার শ্রমিককে মোট ৯ কোটি ১৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে আহত হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য ‘এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি ইন্স্যুরেন্স’ স্কীম পাইলট ভিত্তিতে চালু করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবামুখী মানসিকতা গঠন ও দক্ষতা উন্নয়নে দেশে-বিদেশে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। চাকুরিকালীন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ এবং মেধাভিত্তিক বৃত্তি ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের দক্ষতা বাড়ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানসিকতা উন্নয়নের পাশাপাশি দ্রুততার সাথে সেবা প্রদানের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামো ও পদ্ধতি প্রবর্তন করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালুর বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
নতুন বছরের বাজেটে করপোরেট কর হার এর বিদ্যমান কাঠামোটি বহাল রাখার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, পাবলিকলি ট্রেডেড-ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান (মার্চেন্ট ব্যাংক ব্যতীত)’র ক্ষেত্রে বিদ্যমান কর হার ৩৭.৫ শতাংশ এবং পাবলিকলি ট্রেডেড নয় এরূপ-ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকবে।