‘প্যানেল হলেই দু’টি গ্রুপে বিভক্ত নাও হতে পারে’
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্যানেল হলেই দু’টি গ্রুপে বিভক্ত নাও হতে পারে। প্যানেল হওয়াতে দু’টি গ্রুপ হলো- বিআইএ’র নির্বাচন নিয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ পাভেলের এমন মন্তব্যের বিষয়ে প্রার্থীদের সাথে আলাপ করলে তাদের অনেকেই এই অভিমত জানান।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নন-লাইফ প্রার্থীদের নিয়ে ১০ জনের পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে ভোট চেয়ে লিফলেট প্রকাশ করা হয়। এরপরই বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ পাভেল গণমাধ্যমে পাঠানো লিখিত মতামতে জানান, বিআইএ’র নির্বাচন নিয়ে কখনো প্যানেল হবে এটা আমি চাইনি। এই প্যানেল হওয়াতে এখন দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হলো।
সূত্র মতে, দীর্ঘ ১৪ বছর পর ভোটের মাধ্যমে বিআইএ’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন পদত্যাগ করলে বাকী মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন নাসির উদ্দিন আহমেদ। পাভেল। গত ৭ নভেম্বর সংগঠনটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তবে এই নির্বাচনে প্রার্থী বা ভোটার কোনটাই হননি নাসির উদ্দিন আহমেদ।
বিআইএ’র নির্বাচনে লাইফ বীমা খাতের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থী এবং নন-লাইফ বীমা খাতের প্রার্থীদের সাথে আলাপকালে তারা ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে বলেন, যেকোন সংগঠন বা যেকোন নির্বাচনেই প্যানেল যেমন হয়, তেমনি প্যানেল ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নেন। প্যানেল হওয়া দোষের বা অনৈতিক কিছু নয়।
তারা আরো বলেন, নন-লাইফ বীমা খাতের ১০ জন প্রার্থীকে নিয়ে যেমন প্যানেল হয়েছে, তেমনি ৯ জন স্বতন্ত্র অবস্থান থেকেই বিআইএ’র নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ফলে এখানে দু’টি প্যানেল হয়নি। বরং একটি প্যানেল এবং বাকী ৯ প্রার্থী স্বতন্ত্র। তাই ১০ জনের প্যানেল হওয়ায় বিভক্তি হবে এমনটা নাও হতে পারে বলে মনে করেন তারা।
উল্লেখ্য, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিআইএ’র ২০২৫-২০২৬ সালের নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচনে নন-লাইফ বীমা খাতের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি দু’জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় এ খাতের ১০ সদস্য পদে প্রার্থী রয়েছেন ১৯ জন। অপরদিকে লাইফ বীমা খাতের ১০ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় ১০ প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।