পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের সাথে দাবির টাকা সমন্বয় যেন নন-লাইফের বিষফোড়া
আবদুর রহমান আবির: বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর পুনর্বীমাযোগ্য প্রিমিয়ামের ৫০ শতাংশ রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনে পুনর্বীমা করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে আইনে। গ্রাহক স্বার্থ রক্ষার জন্যই এই বাধ্যবাধকতা। কিন্তু সাধারণ বীমা করপোরেশনে বাধ্যতামূলক পুনর্বীমার প্রিমিয়াম পরিশোধের প্র্যাকটিস যেন হয়ে উঠেছে নন-লাইফ বীমা খাতের বিষফোড়া।
পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের টাকা প্রতি তিন মাস অন্তর পরিশোধের নিয়ম থাকলেও এই টাকা নগদে পরিশোধ করে না বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো। অপরদিকে পুনর্বীমা দাবির টাকাও নগদে পরিশোধ করে না সাধারণ বীমা করপোরেশন (এসবিসি) । পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের টাকা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বা সেশন অনুসারে পুনর্বীমা দাবির টাকার সাথে সমন্বয় করা হয়।
ফলে এসবিসি’র কাছে পাওনা থাকে বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো। আবার বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর কাছেও পাওনা থাকে এসবিসি। ফলে উভয়ের বকেয়া আদায়ে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার মারাত্মক প্রভাব পড়ে গোটা নন-লাইফ বীমা খাতে। পাওনা টাকা আদায় না হওয়ার অভিযোগ তোলে একে অপরের দিকে।
তবে বাকিতে পলিসি ইস্যু বীমা আইনের লংঘন। আবার ৯০ দিনের মধ্যে বীমা দাবির টাকা পরিশোধ না করাও গ্রাহক স্বার্থ বিরোধী ও আইনের লঙ্ঘন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের সাথে বীমা দাবির টাকা সমন্বয়ের যে প্র্যাকটিস রয়েছে তা দীর্ঘদিনের। এই প্র্যাকটিস নন-লাইফ বীমা খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, এটি বন্ধ হওয়া দরকার। আইন অনুসারেও এটি বেআইনি। এই সমন্বয়ের কারণেই বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের বীমা দাবির টাকা সময়মত পরিশোধ করে না। এক্ষেত্রে তাদের মূল অভিযোগ থাকে এসবিসি থেকে বীমা দাবির টাকা না পাওয়া।
নিয়ম অনুসারে বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো যেসব পলিসি ইস্যু করে, তার মধ্যে নিজস্ব ঝুঁকি (ওউন রিটেনশন) কোম্পানির কাছে রেখে বাকিটা পুনর্বীমা করে থাকে। এই পুনর্বীমার মধ্যে ৫০ শতাংশ এসবিসি’র কাছে করতে হয়। এজন্য বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলো ও সাধারণ বীমা করপোরেশনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়, যাকে বীমার পরিভাষায় বলা হয় ট্রিটি।
এই চুক্তি অনুসারে বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো যেসব পলিসি ইস্যু করে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাধারণ বীমা করপোরেশনে পুনর্বীমা হয়ে যায়। চুক্তি অনুসারে প্রতি তিন মাস অন্তর বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলো এসবিসি’র কাছে পলিসি ইস্যুর প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই সাথে পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের টাকাও পরিশোধ করতে হয়।
এক্ষেত্রে প্রিমিয়ামের টাকার সাথে দাবির টাকা সমন্বয়ের প্র্যাকটিসটি হচ্ছে, বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলো পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের টাকা নগদে পরিশোধ করে না। অপর দিকে এসবিসিও পুনর্বীমা দাবির টাকা নগদে পরিশোধ করে না। যে মাসে এসবিসি কোন একটি বীমা দাবি অনুমোদন করে তা সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানিকে পরবর্তী ত্রৈমাসিক বা সেশনের পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের সাথে সমন্বয় করা হয়।
অর্থাৎ এসবিসি পুনর্বীমা দাবি অনুমোদন করলে সেই টাকা নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোকে নগদে পরিশোধ করে না। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বীমা গ্রাহককে। অবৈধ কমিশন, অতিরিক্ত ব্যয়, অনিয়ম- দুর্নীতি ও আর্থিক অব্যবস্থাপনায় থাকা অধিকাংশ কোম্পানি আর্থিক অসচ্ছলতার অজুহাতে গ্রাহককে সময় মতো বীমা দাবির টাকা পরিশোধ করে না।
বীমা করপোরেশন আইন- ২০১৯ এর ধারা ১৭ অনুসারে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত ও বীমা ব্যবসারত প্রত্যেক বীমাকারী সাধারণভাবে প্রচলিত ও গ্রহণযোগ্য শর্তে নিজস্ব ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত অংশের পুনর্বীমা করবে। এক্ষেত্রে নন-লাইফ বীমা ব্যবসার পুনর্বীমাযোগ্য অংশের ৫০ শতাংশ সাধারণ বীমা করপোরেশনের নিকট করতে হবে। অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ উক্ত করপোরেশন অথবা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে অবস্থিত অন্য কোন বীমা কোম্পানিতে করা যাবে।
সর্বশেষ হিসাব অনুসারে বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর কাছে পুনর্বীমা প্রিমিয়াম বাবদ সাধারণ বীমা করপোরেশনের পাওনা বকেয়া রয়েছে ৮৫৯ কোটি টাকা। অপর দিকে সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর পাওনা রয়েছে ৭৩৭ কোটি টাকা।
যা বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা:
পুনর্বীমা প্রিমিয়াম সাথে বীমা দাবির সমন্বয় নিয়ে ইন্স্যুরেন্স নিউজি বিডি কথা বলে বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সাথে। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন, তবে তাদের বেশিরভাই নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়েছেন। ফলে মাত্র কয়েকজন মুখ্য নির্বাহীর বক্তব্য এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মামুন বলেন, হিসাব সমন্বয় (একাউন্ট অ্যাডজাস্টমেন্ট) একটি পদ্ধতি, যা বিশ্বব্যাপী অনুমোদিত। ট্রিটির ক্ষেত্রে সাধারণ বীমা করপোরেশন ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের টাকা সমন্বয় করে। তবে ফ্যাকাল্টেটিভ পুনর্বীমার ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম সমন্বয় করা হয় না, সেক্ষেত্রে প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হয়।
সাধারণ বীমা করপোরেশনে পুনর্বীমার ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে তারা পুনর্বীমা দাবির আবেদন বছরের পর বছর ঝুঁলিয়ে রাখে। যেটা দেশের বাইরে পুনর্বীমার ক্ষেত্রে কখনই হয় না। নিয়ম অনুযায়ী সকল কাগজপত্র জমা দেয়ার পরও সাধারণ বীমা করপোরেশন অনেক সময় নানান ধরণের প্রশ্ন উত্থাপন করতে থাকে এবং সময় ক্ষেপন করে, যা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
খালেদ মামুন বলেন, বিগত ১৮ বছরে আমি একটা বীমা দাবিও নগদে পাইনি। অথচ পুনর্বীমা কোম্পানির প্রধান কর্তব্য হচ্ছে বীমা কোম্পানিকে ক্যাপাসিটি দেয়া অর্থাৎ নগদে বীমা দাবি পরিশোধ করে কোম্পানির দাবি পরিশোধে সহায়তা করা। চুক্তি অনুসারে যেকোন বড় বীমা দাবির ক্ষেত্রে ক্যাশ কল করা যায়, অথচ সাধারণ বীমা করপোরেশন কখনো ক্যাশ কল গ্রহণ করে না।
তিনি বলেন, বড় বীমা দাবির ক্ষেত্রে সমন্বয় করা সমস্যা। এর ফলে কোম্পানির নিজ পকেট থেকে (এফডিআর ভেঙে) দাবি পরিশোধ করতে হয়। যা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি দূর্বল করে দেয়। তাছাড়া এই সমন্বয়ের কারণে বীমা কোম্পানিগুলো গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করতে চায় না, তালবাহানা করে। এতে ভোগান্তির শিকার হয় বীমা গ্রাহক।
সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শফিক শামিম বলেন, সাধারণ বীমা করপোরেশন প্রতি তিন মাস অন্তর পিএসবি (পাবলিক সেক্টর বিজনেস)’র হিসাব প্রকাশ করে এবং সেখানে আমাদের যতটুকু পাওনা থাকে তার সাথে পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের টাকা সমন্বয় করে। অর্থাৎ পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের টাকা পিএসবি’র সাথে সমন্বয় করে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে আমাদের পাওনা বেশি-ই থাকে, যা পরবর্তী কোয়ার্টারে আবার সমন্বয় করা হয়।
অন্যদিকে পুনর্বীমা দাবির পরিমাণ এক কোটি টাকার কম হলে সেটা সাধারণত প্রিমিয়ামের সাথে সমন্বয় করে সাধারণ বীমা করপোরেশন। আর এক কোটি টাকার বেশি হলে ক্যাশ লস প্রদান করে তথা দাবির টাকা পরিশোধ করে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই তারা ক্যাশ লস না দিয়ে প্রিমিয়ামের সাথে দাবি টাকা সমন্বয় করতে বলে, যা বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য খুবই সমস্যার। অনেক ক্ষেত্রে বীমা দাবির আবেদন পাস করতেও বছর পার করে দেয় রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠান।
শফিক শামিম বলেন, সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছ থেকে পুনর্বীমা দাবির টাকা না পেলে বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর ডিপোজিট ভেঙে গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করতে হয়। এতে আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এসব কোম্পানি। অনেক কোম্পানি তখন গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করতে পারে না। এর ফলে বীমা গ্রাহককে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশের বীমা খাতের ওপর।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান তারেক বলেন, পুনর্বীমা প্রিমিয়াম সমন্বয় করার কারণে আমরা ক্যাশ লস পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে কোম্পানির ফান্ড থেকে গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করতে হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই প্র্যাকটিস (চর্চা) চলে আসছে। বুক এডজাস্টমেন্ট যদিও একাউন্টিংয়ের একটি থিওরি, তথাপি এটা পরিবর্তন করা দরকার। কারণ, প্রিমিয়াম সমন্বয়ে কোম্পানিগুলোর লাভের চেয়ে লোকসানই হচ্ছে বেশি। উপরন্তু কোম্পানিগুলোর আর্থিক ভিত দূর্বল হয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, সঠিকভাবে পুনর্বীমা প্রিমিয়াম দেয়া এবং যথাসময়ে দাবি পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত। এই বাধ্যবাধকতা থাকলে বীমা কোম্পানি তার পার্টির কাছ থেকে সময়মতো প্রিমিয়াম নিতো এবং সাধারণ বীমা করপোরেশনের পুনর্বীমা প্রিমিয়াম পরিশোধ করতো। এর ফলে বাকীতে ব্যবসা করার প্রবণতা থাকত না। গ্রাহক সঠিক সময়ে পেমেন্ট পেতো। সর্বোপরি কোম্পানিগুলোর আর্থিক ভিত শক্তিশালী হতো।
পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের সাথে পুনর্বীমা দাবির টাকা সমন্বয়ের বিষয়ে সাধারণ বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে চলে আসছে এই প্র্যাকটিস। তবে আইন এটা সাপোর্ট করে না। তাই আমরা এটা বন্ধ করার চেষ্টা করছি। কোম্পানিগুলোকে চাপ দিয়েছি কোয়ার্টারলি প্রিমিয়াম দেয়ার জন্য। ‘নো প্রিমিয়াম, নো কাভারেজ’ –এটা চালু করার চেষ্টা করছি। তবে হঠাৎ করেই তো এটা পরিবর্তন করা যাবে না।
অপরদিকে আমরাও চেষ্টা করছি কোম্পানিগুলোর বীমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ করতে। এরইমধ্যে অনেক বীমা কোম্পানি নিয়মিত প্রিমিয়াম দেয়া শুরু করেছে এবং আমরাও তাদের বীমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ করছি। তবে এখনো কিছু কোম্পানি আছে যাদের প্রিমিয়াম বকেয়া রয়েছে এবং তাদের বীমা দাবির সাথে এটা সমন্বয় করা হচ্ছে। এগুলোও আমরা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি।
এক্ষেত্রে আইডিআরএ’কে কঠোর হতে হবে। এ বিষয়ে তাদের সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আইডিআরএ থেকে এটা বাধ্যতামূলক করে দেয়া প্রয়োজন যে, বীমা কোম্পানি বীমা প্রথা অনুযায়ী ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পুনর্বীমা প্রিমিয়াম পরিশোধ করে তার একটি কপি আইডিআরএ’কে পাঠাবে। তাহলে প্রিমিয়াম বকেয়া থাকবে না এবং আমরাও তাদের দাবি যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারব। আইডিআরএ’র এটা দেখভাল করা প্রয়োজন।
তবে বীমা দাবি অনুমোদনের ক্ষেত্রে আমাদেরও কিছু সমস্যা আছে; বোর্ড থেকে ব্যালান্স শিট দেখতে চায়, যা সব ধরনের বীমার জন্যে কোনভাবেই প্রযোজ্য নয়। এ জন্য কিছুটা সময় ক্ষেপন হয়। আবার কোম্পানিগুলো অনেক সময় জাস্ট ইন্টিমেশন দিয়ে রাখে; প্রিলিমিনারি রিপোর্ট দেয় না, ফাইনাল রিপোর্টও দেয় না। এখন আমরা বলেছি যথাসময়ে রিপোর্ট দাখিল না করলে ক্লেইমগুলোকে নো ক্লেইম করে দেয়া হবে।
বীমা খাতের জন্য অটোমেশন খুবই প্রয়োজন উল্লেখ করে সাধারণ বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, এটা হলে সমস্যাগুলোর অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে। প্রিমিয়ামের পরিমাণ বাড়বে, জাল-জালিয়াতিও কমে আসবে।
বীমা কোম্পানিগুলোর উচিত কোন বীমা দাবি উত্থাপিত হলে বীমা আইন এবং পলিসি শর্তানুযায়ী বীমা জরিপকারী নিয়োগ করা এবং জরীপকারীর রিপোর্ট অনুযায়ী যদি ক্লেইম কো-অপারেশন না থাকে এবং দাবিটি বীমা কভারেজের ভিতরে থাকে তবে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করা এবং পরবর্তীতে তা তার পুনর্বীমাকারীর নিকট দাবি করা। বীমা গ্রহীতার সাথে সম্পর্ক বীমাকারীর পুনর্বীমাকারীর সাথে নয়। অতএব বীমা গ্রহীতাকে পুনর্বীমাকারীর দোহাই দিয়ে অযথা হয়রানি করা উচিত নয়।