বীমা কর্মচারীদের বেতন কাঠামো প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা কর্মচারীদের বেতন কাঠামো প্রসঙ্গে অতীতে এই পত্রিকা এবং অন্যত্র বেশ কিছু লেখালেখি হয়েছে।
বছর খানিকেরও অধিক সময় হলো বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে খবর বেরিয়েছিল। এ ব্যাপারে কতটা অগ্রগতি সাধিত হয়েছে সেটা জানার জন্য বীমাখাতে নিয়োজিত কর্মচারীরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে।
বীমাখাত আর্থিকখাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অথচ এ খাতের বেশিরভাগ সাধারণ কর্মচারী নিম্ন বেতন-ভাতা ও অপর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার কারণে মারাত্বক রকম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন যাপন করছে।
জানামতে অনেক বীমা কোম্পানি অস্থায়ী কর্মচারীদের বছরের পর বছর স্থায়ী অবস্থায় উন্নতি করতে অপরাগতা প্রকাশ করছে। সেই সাথে অনেক বীমা কোম্পানি বছরের পর বছর কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির ব্যাপারে গড়িমসি করে চলেছে।
ফলে বীমাখাতের কর্মচারীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা এবং নিরুৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে যা স্বাভাবিকভাবে তাদের কর্মক্ষমতার উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে।
বীমা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হবে আর্থিকখাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বীমাখাতের কর্মচারীদের জন্য বেতন কাঠামো তৈরি করা। দুঃখজনকভাবে বীমাখাতের কর্মচারীরা সুযোগ সুবিধা এবং বেতন-ভাতার দিক থেকে অনেক পিছনে অবস্থান করছে।
বীমাখাতে দক্ষ জনবলের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বীমাখাতে বিরাজমান নিম্ন বেতন-ভাতা এবং অপর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা।
বীমা কর্তৃপক্ষ তাদের কাজে কতটা অগ্রগতি সাধন করেছে সেটা সংশ্লিষ্ট সবার জানার অধিকার রয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করবে।