কভিড-১৯: শিল্পপতি ও ব্যবসায়িদের কাছে জাতির প্রত্যাশা

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: পাশের দেশ ভারতে করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানবতার সেবায় সাড়া দিয়ে কতিপয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী এক অসাধারণ মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। এরইমধ্যে বেশ কিছু শিল্পপতি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে উদার মনোভাব নিয়ে সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছে।

করোনা মোকাবিলায় সরকারের ত্রাণ তহবিলে ১ হাজার ৫শ’ কোটি রুপি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রতন টাটা। আর ‘উইপ্রো’র চেয়ারম্যান আজিম হাশিম প্রেমজী দিচ্ছেন ১ হাজার ১২৫ কোটি রুপি। এর মাধ্যমে তারা দেশ প্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে।

দুঃখজনকভাবে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনুদানের ঘোষণা দিলেও তা তাদের সামর্থ বা সঙ্গতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল।

কারোনা ভাইরাসের মতো শক্তিশালী এবং ভয়ঙ্কর শুত্রুর মোকাবেলা করা সরকারের একার পক্ষে এক প্রকার অসম্ভব ব্যাপার।

দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ চরম সঙ্কটে বৃহৎ শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে কোন রকম কার্পন্য না করে দেশ ও জাতির সেবায় এগিয়ে আসবেন এটাই প্রত্যাশা। এ প্রত্যাশা মোটেই অমূলক নয়, বরং সময়ের দাবিও বটে। 

লেখক: জেনারেল সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স প্রফেশনালস সোসাইটি (বিআইপিএস) ।