বীমা খাতের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা দুর্নীতি
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: গত ২৮ তারিখে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি নিয়ে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকবে।
অতীতে এই পত্রিকায় ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ, হোমল্যান্ড লাইফ এবং অন্যান্য বীমা কোম্পানির দুর্নীতি সম্বলিত অনুরূপ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বীমা খাতে যে পরিমাণ দুর্নীতি বিরাজমান তাতে বীমা খাতের ভবিষ্যৎ যে মোটেই ভালো নয়, সেটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
বীমা খাতে দূর্নীতির কারন সমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করা যেতে পারে।
বীমা খাতে অনিয়ম- দুর্নীতির একটি প্রধান কারণ হচ্ছে বীমা কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক দুর্বলতা, অদক্ষতা, দেখেও না দেখার ভান করা ইত্যাদি।
বীমা খাতে দুর্নীতির আর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে এই যে, বীমা কোম্পানির অনেক মালিক-ই হচ্ছেন মন্ত্রী, এমপি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত। এই সমস্ত দুর্নীতিপরায়ন ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যক্তিগত বা পারিবারিক স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছে যা clash of interest বা স্বার্থের সংঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে।
এই সমস্ত ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদ-কাম-ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে এতোটাই দেউলিয়া যে তারা বীমা গ্রাহক তথা কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করতে মোটেই দ্বিধাবোধ করে না বা নিজেদের অপরাধী মনে করে না।
তাদের কাছে গচ্ছিত বীমা গ্রাহকের টাকা তারা ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করে থাকে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় দুর্নীতি যেন বীমা খাতকে রাহুরমত গ্রাস করে চলেছে। এই যখন অবস্থা তখন স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে বীমা খাতের ভবিষ্যৎ কি?
এই অবস্থা আর চলতে দেয়া যেতে পারে না। এই নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির অবশ্যই পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে বীমা খাত যে তিমিরে নিমজ্জিত আছে সেখান থেকে মুক্তির কোন সম্ভাবনা বা পথ নাই।
বীমা কর্তৃপক্ষ এবং বীমা খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের বর্তমান নৈরজ্যজনক অবস্থা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা প্রয়োজন। দুর্নীতিগ্রস্থ বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর এবং সাহসীপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।