প্রত্যাশিত বীমা খাতের সংস্কারে বিলম্ব প্রসঙ্গে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা খাতের বর্তমান নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির জন্য সরকারের দীর্ঘ দিনের অবহেলা ও নির্লিপ্ততাকে বহুলাংশে দায়ী করা যেতে পারে।

বহুল আলোচিত এবং প্রত্যাশিত বীমা খাতের সংস্কার নিয়ে সরকার কি চিন্তা ভাবনা করছে তা জানার অধিকার সকলের রয়েছে।

বীমা খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এ ব্যাপারে আর বিলম্ব করা সমুচিত হবে না। বীমা খাতের সংস্কার এখন সময়ের দাবি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। অথচ বীমার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খাত কিভাবে সেই সংস্কারের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে সেটি একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বীমা খাতে প্রচুর সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দিক হচ্ছে:

১। বর্তমান বীমা আইনের সুষ্ঠু এবং কঠোর প্রয়োগ। এ ব্যাপারে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের উদারতা দেখানোর কোন সুযোগ নাই।

২। বর্তমান বীমা আইনের কাঠামোগত পরিবর্তন বা নতুন বীমা আইন প্রবর্তন করা।

৩। বীমা আইন লংঘন, দুর্নীতি ইত্যাদি অপরাধমূলক কাজের জন্য অর্থ দন্ডের পাশাপাশি কারাদন্ডের বিধান রাখা।

৪। বীমা কোম্পানির পেইডআপ ক্যাপিটাল বৃদ্ধি করা।

৫। বীমা সমন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা।

৬। দক্ষ জনবল সৃষ্টির ব্যাপারে সকল বীমা প্রতিষ্ঠানের বাধ্যতামূলকভাবে বীমা প্রশিক্ষণ চালু করা।

৭। বীমা খাতে সরকারি উচ্চ পদে অভিজ্ঞ বীমা পেশাজীবীদের নিয়োগ প্রদান করা।

৮। সকল ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা সুনিশ্চিত করা ইত্যাদি।

আশাকরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন খাতের সংস্কারের পাশাপাশি বীমা খাতের সংস্কারের বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।