বীমা কোম্পানি ও কংগ্রেস সদস্যদের ট্রাম্পের হুমকি
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: নতুন স্বাস্থ্যসেবা আইন পাস করতে যদি কংগ্রেস ব্যর্থ হয় তাহলে ফেডারেল ফান্ডে যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দেয়া হতো সেটা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২৯ জুলাই শনিবার রাত ১০টা ২৭ মিনিটে এক টুইটে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, "নতুন একটি স্বাস্থ্যসেবা বিল যদি তাড়াতাড়ি অনুমোদন না দেয়া হয় তাহলে খুব শিগগিরই বীমা কোম্পানিগুলো এবং কংগ্রেস সদস্যদের আর্থিক সহায়তা শেষ হয়ে যাবে।"
ওবামাকেয়ার বাতিলের প্রচেষ্টা একেরপর এক ব্যর্থ হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসেবা আইন ও এর স্থপতিদের ওপর আঘাত করছেন না বরং টুইটারে কংগ্রেসের সকল সদস্যের ওপর আঘাত হানা শুরু করেছেন।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে ওবামাকেয়ার বাতিলে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ভোটাভুটি হয়। ওই ভোটেও আইনটি বাতিলে ব্যর্থ হয় ট্রাম্প প্রশাসন। ওবামাকেয়ার বাতিল প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন খোদ রিপাবলিকান পার্টির তিনজন সিনেটর। একারণে ৫১-৪৯ ভোটে নাকচ হয়ে যায় প্রস্তাবটি।
নতুন স্বাস্থ্যসেবা বিল পাসের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যের ব্যাখ্যায় অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট ডাইরেক্টর মিক মালভেনি সিএনএনকে জানিয়েছেন, 'বেইলআউট' দ্বারা বোঝায় স্বাস্থ্য বীমা কিনতে সদস্যদের জন্য সরকার প্রদত্ত প্রিমিয়াম ভর্তুকি।
মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে যাদের আয় ফেডারেল প্রোভার্টি লাইনের ২৫০ শতাংশের নিচে অথবা মাথাপিছু আয় ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের নিচে এমন প্রায় ৭০ লাখ গ্রাহককে কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে দেশটির বীমা কোম্পানিগুলো।
বীমা কোম্পানিগুলোর এই সহযোগিতার জন্য ব্যয় বহন করতে হয় ফেডারেল সরকারকে, যা "কস্ট শেয়ারিং রিডাকশনস" (সিএসআর) হিসেবে পরিচিত। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো ওবামাকেয়ারের অধীনে এসে ফেডারেল ফান্ড থেকে ভর্তুকি গ্রহণ করতে হয়।
ননপার্টিশান কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস জানিয়েছে, এই ব্যয় পরিশোধ বাবদ চলতি বছরে বীমা কোম্পানিগুলো ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ পেতে যাচ্ছে এবং ২০১৮ সালে এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ব্যয় পরিশোধ বন্ধ করতে ট্রাম্পের প্রস্তাব কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা সঠিকভাবে না জানা গেলেও বিশেজ্ঞরা বলছেন, ভর্তুকি বন্ধ হলে একদিকে বীমার খরচ বেড়ে যাবে অন্যদিকে গ্রাহকের সুযোগও কমে আসবে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প যখন ওবামাকেয়ারে ভর্তুকি দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন তখন কায়সার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন লিখেছিল "যদি সিএসআর প্রদান বন্ধ হয়... বীমা কোম্পানিগুলো এ বছর এবং পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে প্রিমিয়াম আয়ের ঘাটতির মুখোমুখি হবে।" (সূত্র: পলিটিফ্যাক্ট, দ্যা হিল)