জেনিথ ইসলামী লাইফের এসইডি গোলাম মর্তূজা বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক: জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উর্ধ্বতন নির্বাহী পরিচালক, এসইডি (পিআরটি) মো. গোলাম মর্তূজা (জিএম সজল)'কে সাময়িক বরখাস্ত ও ব্যাখ্যা প্রদানের নোটিশ জারি করেছে বীমা কোম্পানিটি। শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদ জালিয়াতি এবং ব্যবসা ও সংগঠন সম্প্রাসরণের কোন ভূমিকা না রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জেনিথ ইসলামী লাইফের পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মো. গোলাম মর্তূজা (জিএম সজল) উর্ধ্বতন নির্বাহী পরিচালক (পিআরটি) পদে গত ০১/১১/২০১৩ তারিখে নিয়োগপত্র গ্রহণ করেছিলেন। নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে সাময়িকভাবে সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় ছিলেন। বর্তমানে ব্যবসা ও সংগঠন সম্প্রসারণে কোন ভূমিকা রাখছেন না এবং প্রধান কার্যালয়ের সাথে কোন যোগাযোগও করছেন না।
বীমা কোম্পানিটি থেকে গত ৪ জুন সোমবার ইস্যু করা "জেডআইএলআইএল/প্রকা/উপ্র/২০১৮/-০২১২" পত্রে আরো বলা হয়েছে, অত্র কোম্পানিতে জমাকৃত ব্যক্তিগত নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায় গোলাম মর্তুজার শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদ জাল বলে প্রতীয়মান হয়, যা ফৌজদারী অপরাধ।
এমতাবস্থায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিয়োগ নেয়ায় নিয়োগপত্রের ১২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অত্র কোম্পানির চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। যা পত্র ইস্যুর তারিখ থেকে কার্যকর হবে এবং কেন অত্র কোম্পানির চাকরি হতে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হবে না এ মর্মে পত্র প্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে গোলাম মর্তুজাকে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বীমা কোম্পানির ওই পত্রে আরো বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে গোলাম মর্তুজার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হলে তার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। একই সঙ্গে কোম্পানির সম্পদ যেমন- রেট চার্ট, পলিসি দলিল (যদি থাকে) প্রধান কার্যালয়ের "উন্নয়ন প্রশাসন" বিভাগে জমা দেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এসব বিষয়ে গোলাম মর্তূজা ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি'কে বলেন, আমি কখনো জেনিথ ইসলামী লাইফে কাজ করিনি। এমনকি সেখানে কাজ করার জন্য কোন আবেদনও করিনি। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জালিয়াতির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাও আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এসবই করা হয়েছে আমাকে হেনস্থা করার জন্য। মিথ্যা অভিযোগে আমাকে হেনস্থা করার চেষ্টা হলে আমি আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো, বলেন গোলাম মর্তুজা।
তবে জেনিথ ইসলামী লাইফের তৎকালীন এসিসট্যান্ট ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (এএমডি) মো. রাফি আলম তারেক, যিনি বর্তমানে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সে কর্মরত। তিনি বলেন, গোমলাম মর্তুজা জেনিথ ইসলামী লাইফে যোগদান করেছিলেন। তার নিয়োগের ক্ষেত্রে আমি সুপারিশ করেছিলাম এবং আমার সাথেই তিনি কাজ করেছেন।
জেনিথ ইসলামী লাইফের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) এসএম নুরুজ্জামান বলেন, গোলাম মর্তূজা আমাদের অফিসে কাজ করেছেন। তার দাখিল করা শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ আমরা অনলাইনে যাচাই করেছি, সবই জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া তিনি কোম্পানির ব্যবসা ও সংগঠন সম্প্রসারণে কোন ভূমিকা পালন করছেন না। এ জন্য আমরা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি এবং ব্যাখ্যা প্রদানের নোটিশ দিয়েছি।
উল্লেখ্য, মো. গোলাম মর্তূজা (জি এম সজল) ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (আইডিএবি) নামে বীমা পেশাজীবীদের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যন ও প্রধান সমন্বয়ক। আইডিএবি একটি অলাভজনক সংগঠন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতারা। তবে সংগঠনটির উন্নয়নের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।