লাইফ ফান্ড কমেছে ১০ কোম্পানির, ব্যাখ্যা চেয়ে আইডিআরএ'র চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বেসরকারি ১০ লাইফ বীমা কোম্পানির লাইফ ফান্ড কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । কারণ ব্যাখ্যাসহ তা রোধকল্পে গৃহীত ব্যবস্থাদির বিবরণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে ৭ দিনের সময় বেধে দিয়ে গত ২ আগস্ট এ চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

লাইফ ফান্ড কমে যাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স, হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এলআইসি বিডি, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে বীমাকারী কর্তৃক প্রদত্ত পরিসংখ্যান তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, বর্ণিত বীমাকারীদের লাইফ ফান্ড কমে গেছে। এর কারণে দীর্ঘ মেয়াদে সচল পলিসির নিট দায় পরিশোধের সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, যা বীমা আইন ২০১০ এর ২৬(২) ধারার পরিপন্থী।

কোম্পানিগুলোর প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন অনুসারে, ফারইষ্ট ইসলামী লাইফের লাইফ ফান্ড কমে গেছে ১০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। গোল্ডেন লাইফের লাইফ ফান্ড কমেছে ১ কোটি টাকা। হোমল্যান্ড লাইফের লাইফ ফান্ড কমেছে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এলআইসি বিডি'র লাইফ ফান্ড কমেছে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা। মেঘনা লাইফের লাইফ ফান্ড কমেছে ৩৫ কোটি ১২ লাখ টাকা।

এ ছাড়াও ন্যাশনাল লাইফের লাইফ ফান্ড কমেছে ২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। পদ্মা ইসলামী লাইফের লাইফ ফান্ড কমেছে ২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। পপুলার লাইফের লাইফ ফান্ড কমেছে ১৩৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। প্রাইম ইসলামী লাইফের লাইফ ফান্ড কমেছে ৪০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং সন্ধানী লাইফের লাইফ ফান্ড কমেছে ৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

এর আগে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবসার দক্ষতার মূল্যয়ন শীর্ষক এক প্রতিবেদনে আইডিআরএ জানিয়েছে, ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের খাতওয়ারী হিসাব পরীক্ষা করে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করে বীমা প্রতিষ্ঠানকে ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করতে হবে।

এ ছাড়াও বীমা গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার্থে লাইফ ফান্ড কমে যাওয়ার প্রবণতা অবিলম্বে রোধ করতে হবে। বীমাকারীদের প্রথম প্রান্তিকে লাইফ ফান্ড কমে যাওয়ার কারণ দর্শানোসহ তা রোধকল্পে গৃহীত ব্যবস্থাদির বিবরণ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।