আওয়ামী লীগ মনোনিত বীমাকারীর ৯ পরিচালক ও মূখ্য নির্বাহীর বিজয়
আবদুর রহমান আবির: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন বীমা কোম্পানির ৯ মালিক ও মূখ্য নির্বাহী। এর মধ্যে ৫ জন বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান, ৩ জন পরিচালক এবং ১ জন মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা রয়েছেন। গতকাল রোববার ভোট শেষে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ফলাফল অনুসারে, নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম। তিনি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯১টি ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জয়নাল আবেদীন ফারুক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬ হাজার ১৬৯ ভোট।
মৌলভীবাজার-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ। ১৫২টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে তিনি ২ লাখ ১১ হাজার ৬১৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মুজিবুর রহমান মুজিব ধানের শীষে ভোট পেয়েছেন ৯৩ হাজার ২৯৫টি।
কুমিল্লা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানি এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন। তিনি নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৭৩ হাজার ১৮৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী কে এম মজিবুল হক পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৫৮ ভোট।
রিপাবলি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পরিচালক সাবের হোসেন চৌধুরী ঢাকা-৯ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি দুই লাখ ২৪ হাজার ২৩০ ভোট পেয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফরোজা আব্বাস ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৯ হাজার ১৬৫ ভোট।
ঢাকা-১১ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিজীয় হয়েছেন বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স লিমিডেট এর পরিচালক এ কে এম রহমতুল্লাহ। তিনি ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬৮১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম আরা বেগম ধানের শীষ প্রতীকে ৫৪ হাজার ৭২১ ভোট পেয়েছেন।
নোয়াখালী-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান অগ্রনী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালক এইচ এম ইব্রাহিম। নির্বাচনে তিনি ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭০ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মাহবুব উদ্দিন খোকন পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৬২ ভোট।
চট্টগ্রাম-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন বেসরকারি নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মিতা। তিনি ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোস্তফা কামাল পাশা ধানের শীষে পেয়েছেন ৩ হাজার ১২২ ভোট।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন বেসরকারি নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ড. আনোয়ার হোসেন খান। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৩৮টি এবং তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৯৪ ভোট।
এ ছাড়াও টাঙ্গাইল-৬ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানির সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি ২ লাখ ৮৫ হাজার ৩০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী গৌতম চক্রবর্তী পেয়েছেন ৪০ হাজার ৩২৪ ভোট।
উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে আওয়ামী লীগ। ৩০০ আসনে ৪ হাজার ২৩ জন মনোনয়ন ফরম জমা দেন। ১২ নভেম্বর মনোনয়ন ফরম জমা নেয়া শেষ হয়। ২৪ নভেম্বর থেকে মনোনয়নের চিঠি বিতরণ শুরু করে দলটি।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ওই তফসিল অনুযায়ী, ২৩ ডিসেম্বর ভোটের দিন নির্ধারিত হয়। তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ৩০ ডিসেম্বর।