ঢাবিতে গার্ডিয়ান লাইফের মাতৃভাষা সাংস্কৃতিক উৎসব

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)’র স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১২ দিনব্যাপী গার্ডিয়ান লাইফ ভালোবাসার মাতৃভাষা সাংস্কৃতিক উৎসব- ২০১৯। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স এ তথ্য জানিয়েছে।

উৎসবে টিএসসির সামাজির-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর পরিবেশনায় নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তি, নাটক, মূকাভিনয়, বিতর্ক, কুইজ প্রতিযোগিতা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, স্থিরচিত্র প্রদর্শনী, ভাষাভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা, ভাষা সাইকেল র‍্যালীসহ বর্ণিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকবে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত চলবে এ উৎসব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কবি মুহাম্মদ সামাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস ও টিএসসি’র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত্ব, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র তারকা, জনপ্রিয় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও তরুণ উদ্যোক্তা উৎসবের বিভিন্ন দিনে উপস্থিত থাকবেন।

উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক সংসদ, চলচ্চিত্র সংসদ, জয়ধ্বনি সাংস্কৃতিক সংগঠন, টুরিস্ট সোসাইটি, আইটি সোসাইটি, প্রভাতফেরী, স্লোগান ’৭১, মডেল ইউনাইটেড ন্যাশন, মাইম অ্যাকশন, পরিবেশ সংসদ, সাংস্কৃতিক সংসদ, সাইকেলিং ক্লাব, নাট্য সংসদ, গবেষণা সংসদ, ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, ব্যান্ড সোসাইটি, সাহিত্য সংসদ, কুইজ সোসাইটি, ক্যারিয়ার ক্লাব, সায়েন্স সোসাইটি অংশগ্রহণ করবে।

এ উৎসব সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেছেন, টিএসসিকেন্দ্রিক সংগঠনগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। তাদের সম্মিলিত আয়োজন ভাষার মাসের তাৎপর্যকে আরো বেশি মহিমান্বিত এবং প্রাণবন্ত করবে।

গার্ডিয়ান লাইফের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এম মনিরুল আলম বলেন, গার্ডিয়ান লাইফ এই আয়োজনকে সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। গার্ডিয়ান লাইফ সবসময় চেষ্টা করে একটি গতানুগতিক বীমা কোম্পানি থেকে সরে আসতে। আমরা মাতৃভাষা, সংস্কৃতি, প্রগতিশীলতা ও সৃষ্টিশীলতাকে ধারণ করে একটি দায়িত্বশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে চাই।

উৎসবের আহবায়ক ঢাবি নাট্য সংসদের সভাপতি সানোয়ারুল হক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার ঐতিহ্যকে ধারণ করে ভবিষ্যতেও এরকম উৎসবের ধারা অব্যাহত রাখবে।