সরকারের দৃষ্টি এখন বীমাখাতের ওপর: ইউনুসুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমাখাতের ওপর এখন সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। আগামী দু'তিন বছর সরকারের প্রচেষ্টা হবে এই বীমাখাতের দিকে। সরকার এ পর্যন্ত যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সবগুলোই সফল হয়েছে। একটিও পিছিয়ে যায়নি। তাই সরকারের দৃষ্টি এখন বীমাখাতের ওপর।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান এসব কথা জানিয়েছেন। সাধারণ বীমা করপোরেশন (এসবিসি) আয়োজিত 'ড্রাফট রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক ফর ওয়েদার ইনডেক্স বেইজড ক্রপ ইন্স্যুরেন্স' শীর্ষক ওয়ার্কশপে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে ওয়ার্কশপটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইউনুসুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে অর্থনীতিখাতকে খাপ খাওয়ানো যাচ্ছে না। ব্যাংক, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বীমাখাতের মধ্যে এখন পর্যন্ত ব্যাংক ও এসইসি কিছুটা এগিয়ে গেছে। তবে বীমাখাত এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। জিডিপি'তে বীমাখাতের অবদান মাত্র দশমিক ৭০ শতাংশ।

তিনি বলেন, বীমার ওপর মানুষের আস্থা জন্মেনি। মানুষের সাধারণ অভিযোগ হচ্ছে বীমা দাবি পাওয়া যায় না। সরকারি বীমা কোম্পানিতেও সময়মতো দাবি পাওয়া যায় না। আর বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর অবস্থা আরো খারাপ। বেসরকারিখাতে ভালো বীমা কোম্পানি থাকলেও কিছু বীমা কোম্পানির অবস্থা খুবই খারাপ।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আরো বলেন, শস্য বীমাকে মানুষের আস্থার যায়গায় নিয়ে আসতে হবে। এর প্রতি মানুষের যাতে আগ্রহ জন্মায়। বর্তমানে ব্যাংক কেন্দ্রিক গতানুগতি কিছু প্রোডাক্ট আছে। তবে সাধারণ মানুষের জন্য ভালো কিছু প্রোডাক্ট তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের বন্ধু হতে পারিনি। আমাদেরকে তাদের বন্ধু হতে হবে।

সাধারণ বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান ওয়ার্কশপে সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য রাখেন ডব্লিউআইবিসিআই প্রকল্পের পরিচালক ওয়াসিফুল হক, বিএমডি'র পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ, এডিবি'র প্রিন্সিপাল ফিনান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট অরুপ চ্যাটার্জি, আইডিআরএ'র সদস্য গকুল চাঁদ দাস।

এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আইডিআরএ, এডিবি, পরিকল্পনা কমিশন, আইএমইডি, আবহাওা অধিদপ্তর, কৃষি অধিদপ্তর, কৃষি ব্যাংক, বিভিন্ন এনজিও, এমএফআই'র প্রতিনিধিরা এই ওয়ার্কশপে উপস্থিত ছিলেন।