একযুগ পর চাকরি ফিরে পাওয়ার রায় পেলেন রূপালী লাইফের কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: একযুগেরও বেশি সময় আইনি লড়াই করে আদালত থেকে চাকরিতে আবার বহালের আদেশ পেলেন রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বরখাস্তকৃত এক কর্মকর্তা। পাশাপাশি বরখাস্ত থাকা সময়ের বেতন- ভাতা ও অন্যান্য সকল পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার আদেশ দেয়া হয়েছে এ রায়ে। গত ১১ এপ্রিল এক মিস মামলা নিষ্পত্তি করে কুমিল্লার যুগ্ন জেলা জজ আদালত এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষের বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন কোম্পানিটির এক্সিকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজার খন্দকার হেদায়েত উল্লাহ।

মামলার বাদী জানান, রূপালী লাইফ ষড়যন্ত্রমুলকভাবে আমাকে বরখাস্ত করলে এর বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কুমিল্লা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করি।

৬ বছর পর ২০১০ সালে মামলায় একতরফা রায় হয়। আদালত ৩০ দিনের মধ্যে আমাকে নিজ পদে পুনর্বহালের আদেশ দেন। এছাড়া বরখাস্ত সময়ে আমার সকল বেতন-ভাতা ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করতে বলা হয় আদেশে।

এ আদেশের পর কোম্পানি মামলাটি পুনর্জীবিত করার জন্য মিস আপিল করে । আদালত আমাকে মামলার খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকা দেয়ার শর্তে আবেদন মঞ্জুর করেন। ৭ বছরের বেশি সময় পর ১১ এপ্রিল আগের রায় হুবহু বহাল রেখে কোম্পানির আপিল খারিজ করে দেন যুগ্ন জেলা জজ আদালত।

মামলার বাদী সূত্রে জানা গেছে, রূপালী লাইফে বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীর কুমিল্লা বিভাগীয় কার্যালয়ে জিএম (ইনচার্জ) হিসেবে যোগদান করেন ২০০১ সালের মে মাসে । এরপর আর্থিক স্বচ্ছতা, উজ্জল ভাবমুর্তি  ও  সাংগঠনিক দক্ষতার পুরষ্কার স্বরূপ তাকে একসাথে দু’টি পদোন্নতি দিয়ে এক্সিকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে পদোন্নতিও দেয়া হয়। একই সঙ্গে তার বেতন ৪ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৬ হাজার টাকা করা হয়।

এরপর মধ্যবর্তী স্তরের কর্মীদের কমিশন বাবদ পাওনা ৫ লাখ ২৬ হাজার ৮৪৬ টাকা চাইতে গেলে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে তা বাক-বিতণ্ডায় রূপ নেয়। এ কারণেই ষড়যন্ত্র করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে খন্দকার হেদায়েত উল্লাহকে বরখাস্ত করেন কোম্পানির তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।