শুভ উদ্বোধন

নিটল ইন্স্যুরেন্সের ‘নিরাপদ’ বীমা; সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‌‍‌‘সড়কে মৃত্যুর মিছিল’ পত্রিকার পাতায় এমন শিরোনামের সাথে আমরা পরিচিত। ঘুম থেকে জেগে পত্রিকার পাতা খুললেই এমন সংবাদ আমাদের চোখে পড়ে। যেকোন উৎসবে ঘরে ফেরা মানুষের আহাজারি উৎসবকে বেদনায় পরিণত করে। দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত ব্যক্তির শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সরকারিভাবে কখনো কখনো ৫০ হাজার বা ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়।

কথায় বলে দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। এরপরও সতর্ক থাকতে হয়। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার যেমন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালায়। তেমনি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাও প্রচারণা চালায়। এরপরও নানা কারণেই থামে না সড়ক দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির শিকার হন নিহত বা আহত ব্যক্তির পরিবার।

সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই প্রথমবারের মতো দেশে অনলাইন ভিত্তিক ব্যক্তিগত মোটর গাড়ি বীমা প্ররিকল্প নিয়ে এলো নিটল ইন্স্যুরেন্স। কম্প্রিহেনসিভ পলিসির সমন্বয়ে গড়া এ বীমা পলিসির নাম দেয়া হয়েছে ‘নিরাপদ’ । তবে কম্প্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্সের চেয়েও কম মূল্যে কেনা যাবে নিরাপদ বীমা পলিসি। আজ বুধবার ঢাকা ক্লাবে নতুন এ পলিসির উদ্বোধন করা হলো।

‘নিরাপদ’ প্রাইভেট কার পলিসির সুবিধার মধ্যে রয়েছে- অনলাইন মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পলিসি ইস্যু; কোন সার্ভে ছাড়াই অনলাইন মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বীমা দাবি পরিশোধ; গাড়ি টেনে নিতে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ফি প্রদান; মৃত্যু বা শারীরিক আঘাতে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ; ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত তৃতীয় পক্ষের ক্ষতিপূরণ।

এ ছাড়াও রয়েছে বিনা মূল্যে ভেহিকল ট্র্যাকার স্থাপন; পিসি বা পিডিএ ব্যবহার করে গুগল ম্যাপে গাড়ির সঠিক অবস্থান জানা; চুরি বা অন্য কোন কারণসহ যেকোন সময় যেকোন স্থানে নিজের মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস পাঠিয়ে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ বা গাড়ির ইঞ্জিন ব্লক করা; গাড়ির চলাচল সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ; ২৪ কার্য দিবসের মধ্যে জরিপ কাজ সম্পন্ন এবং ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে বীমা দাবি নিষ্পত্তি সুবিধা।

নিরাপদ বীমা পলিসির বিষয়ে নিটল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান একেএম মনিরুল হক বলেন, মানুষের কল্যাণের জন্যই বীমা। এদিকটি সামনে রেখেই নিরাপদ বীমা পলিসিটি ডিজাইন করেছি। আমরা আশা করছি এর মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সেবা দেয়ার মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারবো।