২০১৮ সালে লাইফ বীমার প্রিমিয়াম আয়ে ১০% প্রবৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮ সালে দেশের লাইফ বীমাখাতে গ্রস প্রিমিয়াম আয়ে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আলোচ্য বছরে সরকারি-বেসরকারি ৩২টি লাইফ বীমা কোম্পানি সর্বমোট ৯ হাজার ১৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। এর আগে ২০১৭ সালে এই প্রিমিয়াম আয়ের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ১৯৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, আর প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশ। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকের তথ্যের ভিত্তিতে লাইফ বীমাকারীর ব্যবসার দক্ষতা মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ চিত্র তুলে ধরেছে।

আইডিআরএ’র প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালে দেশের ৩২টি লাইফ বীমা কোম্পানির মোট প্রিমিয়াম আয়ের ৬৬ শতাংশ এসেছে একক বীমা খাতে। খাতটিতে সংগৃহীত প্রিমিয়াম আয়ের পরিমাণ ৫ হাজার ৯৯৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। যা আগের বছরে ছিল ৫ হাজার ৫৫৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে একক বীমায় ৪৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ৮ শতাংশ বেশি প্রিমিয়াম আয় করেছে।

ক্ষুদ্রবীমা খাতে ২০১৮ সালে কোম্পানিগুলোর সর্বমোট প্রিমিয়াম আয় ১ হাজার ৩৮২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। যা আলোচ্য বছরে সংগৃহীত মোট প্রিমিয়ামের ১৫ শতাংশ। এর আগে ২০১৭ সালে ক্ষুদ্রবীমা খাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ১ হাজার ২০২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে ২০১৮ সালে ক্ষুদ্রবীমা খাতের প্রিমিয়াম আয়ে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

গ্রুপ ও স্বাস্থ্য বীমাখাতে ২০১৮ সালে মোট প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৫৯১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা আলোচ্য বছরে সংগৃহীত মোট প্রিমিয়াম আয়ের ৬ শতাংশ। এর আগে ২০১৭ সালে এখাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৪৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে ২০১৮ সালে গ্রুপ ও স্বাস্থ্য বীমাখাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এ ছাড়াও ইসলামী তথা তাকাফুল বীমায় ২০১৮ সালে প্রিমিয়াম সংগ্রহের পরিমাণ ১ হাজার ৫২ কোটি ২ লাখ টাকা। যা বছরটিতে সংগৃহীত মোট প্রিমিয়ামের ১২ শতাংশ। এর আগে ২০১৭ সালে তাকাফুল বীমায় মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ৯৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যা বছরটিতে সংগৃহীত মোট প্রিমিয়ামের ১২ শতাংশ ছিল। তুলনামূলকভাবে ২০১৮ সালে তাকাফুল বীমার প্রিমিয়াম আয়ে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।