গাইডলাইনের ভিত্তিতে চালু হবে ব্যাংকাস্যুরেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাইডলাইনের ভিত্তিতে দেশে ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছে আইডিআরএ। আজ বুধবার কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র মতে, ব্যাংকাস্যুরেন্স চালুর ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের মতো প্রথমে গাইডলাইন তৈরি করা হবে। ওই গাইডলাইনের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করা হবে। এরপর সবকিছু পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে প্রবিধানমালা তৈরি করা হবে। আজকের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৈঠক সূত্রে আরো জানা গেছে, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ব্যাংকাস্যুরেন্সের জন্য গাইডলাইন তৈরি করবে। যার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে ব্যাংকাস্যুরেন্স।

উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালের দিকে ফ্রান্স ও স্পেনে প্রথম ব্যাংকাস্যুরেন্স’র ধারণার উদ্ভব হয়। ব্যাংকাস্যুরেন্স একটি ফরাসি শব্দ, যার অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা পণ্য বিক্রি। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা পণ্য বিক্রি একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

বর্তমানে এশিয়ার দেশগুলোতেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ব্যাংকাস্যুরেন্স। বিশেষ করে লাইফ বীমা পলিসি বিক্রিতে এটি শীর্ষ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। প্রায় ১৫ বছর আগে এশিয়ার বাজারে প্রবেশ করে ব্যাংকাস্যুরেন্স। তবে এখনো এর অগ্রগতির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের বীমা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু হলে বীমাখাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে আগামী ৩ বছরেই। তাদের মতে, প্রিমিয়াম সংগ্রহের এই পরিমাণ বর্তমানের চেয়ে ১০ গুণ বাড়তে পারে। একইসঙ্গে কমে আসবে ব্যবস্থাপনা ব্যয়। বাড়বে গ্রাহকের আস্থা। বাড়তি আয়ের সুযোগ পাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বাড়বে সরকারের রাজস্বও।