লাইফ বীমার এক দশক: ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ বীমা দাবি পরিশোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল এই এক দশকে দেশের লাইফ বীমাখাত সর্বোচ্চ বীমা দাবি পরিশোধ করেছে ২০১৮ সালে। আলোচ্য বছরে উত্থাপিত মোট বীমা দাবির ৮৮.৫১ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে, যার পরিমাণ ৬ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। বীমা দাবি পরিশোধের এই হার এবং পরিমাণ উভয়ই ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালে মৃত্যুদাবি, মেয়াদোত্তীর্ণ, সারেন্ডার, সার্ভাইভাল বেনিফিট, গোষ্ঠী ও স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ সর্বমোট ৭ হাজার ৪২৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা বীমা দাবি উত্থাপন হয়। এরমধ্যে ৬ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা দাবি পরিশোধ করে কোম্পানিগুলো। সে হিসাবে আলোচ্য বছরে ৮৫৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ১১.৪৯ শতাংশ বীমা দাবি অনিষ্পন্ন রয়েছে।
২০১৮ সালে মৃত্যুদাবির ২১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ৬৩.৬১ শতাংশ, মেয়াদোত্তীর্ণ বীমার ৩ হাজার ৮০৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ৯০.৫৩ শতাংশ, সারেন্ডার বীমার ৯৬১ কোটি ৭২ লাখ টাকা বা ৯৮.৮২ শতাংশ, সার্ভাইভাল বেনিফিট ১ হাজার ৫১ কোটি ২৮ লাখ টাকা বা ৮৩.৫৭ শতাংশ এবং গোষ্ঠী ও স্বাস্থ্য বীমা দাবির ৫৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৮২.৭১ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালে দেশের লাইফ বীমাখাতে মৃত্যুদাবি, মেয়াদোত্তীর্ণ, সারেন্ডার, সার্ভাইভাল বেনিফিট, গোষ্ঠী ও স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ মোট ৬ হাজার ৮০৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা বীমা দাবি উত্থাপন হয়। এরমধ্যে ৫ হাজার ৫৫০ কোটি ৭১ লাখ টাকা বা ৮১.৫৯ শতাংশ দাবি পরিশোধ করে কোম্পানিগুলো। অর্থাৎ বছরটিতে ১ হাজার ২৫২ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ১৮.৪১ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন থেকে যায়।
২০১৬ সালে দেশের লাইফ বীমাখাতে মৃত্যুদাবি, মেয়াদোত্তীর্ণ, সারেন্ডার, সার্ভাইভাল বেনিফিট, গোষ্ঠী ও স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ সর্বমোট ৬ হাজার ২৫৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা বীমা দাবি উত্থাপন হয়। এরমধ্যে ৫ হাজার ৩৭০ কোটি ৮ লাখ টাকা বা ৮৫.৮৮ শতাংশ দাবি পরিশোধ করে কোম্পানিগুলো। সে হিসাবে আলোচ্য বছরে ৮৮২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বা ১৪.১২ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন রয়ে যায়।
২০১৫ সালে দেশের লাইফ বীমাখাতে মৃত্যুদাবি, মেয়াদোত্তীর্ণ, সারেন্ডার, সার্ভাইভাল বেনিফিট, গোষ্ঠী ও স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ মোট ৫ হাজার ৬৮৯ কোটি ২২ লাখ টাকা বীমা দাবি উত্থাপন হয়। এরমধ্যে ৪ হাজার ৮৫২ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ৮৫.২৯ শতাংশ দাবি পরিশোধ করে কোম্পানিগুলো। অর্থাৎ বছরটিতে ৮৩৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বা ১৪.৭১ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন থেকে যায়।
২০১৪ সালে দেশের লাইফ বীমাখাতে মৃত্যুদাবি, মেয়াদোত্তীর্ণ, সারেন্ডার, সার্ভাইভাল বেনিফিট, গোষ্ঠী ও স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ সর্বমোট ৪ হাজার ৩৩১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বীমা দাবি উত্থাপন হয়। এরমধ্যে ৩ হাজার ৪৮২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ৮০.৪১ শতাংশ দাবি পরিশোধ করে কোম্পানিগুলো। সে হিসাবে আলোচ্য বছরে ৮৪৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা বা ১৯.৫৯ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন রয়ে যায়।
২০১৩ সালে দেশের লাইফ বীমাখাতে মৃত্যুদাবি, মেয়াদোত্তীর্ণ, সারেন্ডার, সার্ভাইভাল বেনিফিট, গোষ্ঠী ও স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ মোট ৩ হাজার ৫০৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বীমা দাবি উত্থাপন হয়। এরমধ্যে ২ হাজার ৭৪৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা বা ৭৮.২৮ শতাংশ দাবি পরিশোধ করে কোম্পানিগুলো। অর্থাৎ বছরটিতে ৭৬১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ২১.৭২ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন থেকে যায়।
এ ছাড়াও ২০১২ সালে দেশের লাইফ বীমাখাতে মৃত্যুদাবি, মেয়াদোত্তীর্ণ, সারেন্ডার, সার্ভাইভাল বেনিফিট, গোষ্ঠী ও স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ সর্বমোট ২ হাজার ৯২৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা বীমা দাবি উত্থাপন হয়। এরমধ্যে ২ হাজার ২২৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা বা ৭৬.২১ শতাংশ দাবি পরিশোধ করে কোম্পানিগুলো। সে হিসাবে আলোচ্য বছরে ৬৯৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বা ২৩.৭৯ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন রয়ে যায়।
২০১১ সালে দেশের লাইফ বীমাখাতে মৃত্যুদাবি, মেয়াদোত্তীর্ণ, সারেন্ডার, সার্ভাইভাল বেনিফিট, গোষ্ঠী ও স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ মোট ২ হাজার ৩১৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা বীমা দাবি উত্থাপন হয়। এরমধ্যে ১ হাজার ৭৫৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বা ৭৬.০৫ শতাংশ দাবি পরিশোধ করে কোম্পানিগুলো। অর্থাৎ বছরটিতে ৫৫৪ কোটি ৮ লাখ টাকা বা ২৩.৯৫ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন থেকে যায়।
২০১০ সালে দেশের লাইফ বীমাখাতে মৃত্যুদাবি, মেয়াদোত্তীর্ণ, সারেন্ডার, সার্ভাইভাল বেনিফিট, গোষ্ঠী ও স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ সর্বমোট ১ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা বীমা দাবি উত্থাপন হয়। এরমধ্যে ১ হাজার ৪২২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বা ৭৫.৪২ শতাংশ দাবি পরিশোধ করে কোম্পানিগুলো। সে হিসাবে আলোচ্য বছরে ৪৬৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ২৪.৫৮ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন রয়ে যায়।
আর ২০০৯ সালে দেশের লাইফ বীমাখাতে মৃত্যুদাবি, মেয়াদোত্তীর্ণ, সারেন্ডার, সার্ভাইভাল বেনিফিট, গোষ্ঠী ও স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ সর্বমোট ১ হাজার ৫৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বীমা দাবি উত্থাপন হয়। এরমধ্যে ১ হাজার ১৩৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ৭১.৯১ শতাংশ দাবি পরিশোধ করে কোম্পানিগুলো। সে হিসাবে আলোচ্য বছরে ৪৪৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ২.০৯ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন রয়ে যায়।