গ্রাহকদের টাকা আর মারা যাবে না: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা গ্রাহকদের টাকা আর মারা যাবে না। গ্রাহক ৮ কিস্তি জমা দিলে সেখানে কোম্পানি ৪ কিস্তি দেখাতে পারবে না। এই সুযোগ এখন আর নেই। তাই গ্রাহকের বীমা করতে আর কোন ভয় নেই। বীমা কোম্পানিগুলোর প্রতি আস্থা হারানোরও কোন সুযোগ নেই। আমরা ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি।

এসব কথা বলেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী। আজ সোমবার রাজধানীর কাকরাইলস্থ আইডিইবি ভবনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্তের সার্ভিস গ্রহণের আওতায় পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির গ্রাহকদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বীমা কর্মকর্তা ছিলেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেকে বীমা পরিবারের একজন সদস্য মনে করেন। একারণেই বীমাখাতের উন্নয়নে তার বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। আমরা আশা করব আপনারাও বীমাখাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের তথ্যের সাথে সংযুক্ত হলে গ্রাহকদের টাকা আর মারা যাবে না। একজনের টাকা আরেকজন নিয়ে যেতে পারে, সেটা ম্যানুয়ালি সম্ভব। কিন্তু এখন আর সেটা সম্ভবব হবে না। পপুলার লাইফ এগিয়ে যাচ্ছে, আরো এগিয়ে যাবে। আপনাদের সহযোগিতা থাকতে হবে। আপনারা এটা আরো বেগবান করবেন।

শফিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, এরইমধ্যে আমরা বীমাখাত ডিজিটালাইজেশন করার অংশ হিসেবে ইউনিফায়েড মেসেজিং প্লাটফর্ম (ইউএমপি) বাস্তবায়ন শুরু করেছি। এটি বাস্তবায়ন হলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সার্ভারের সঙ্গে ৭৮টি বীমা কোম্পানির সার্ভার সংযুক্ত থাকবে। আপনাদের ডাটা আমরা পেয়ে যাবো। আমাদের কাছে অভিযোগ আসে, আপনাদের বীমার ম্যাচুরিটি হয়ে গেছে ২/৩ বছর আগে কিন্তু আপনারা টাকা পাচ্ছেন না। এটা এখন আর হবে না।

তিনি বলেন, আপনারা ৮টি কিস্তি জমা দেন, কিন্তু প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ৪ কিস্তি জমা হয়েছে- এগুলো আর থাকবে না। এই সিস্টেম আমরা চালু করে দিয়েছি। এটা আাপনাদের ভালোর জন্য এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। এখন আপনারা মেসেজ পাবেন, কোম্পানি জানবে, গ্রাহকরা জানবে এবং আমরাও জানবো কখন আপনার প্রিমিয়াম দিতে হবে, কখন টাকা ম্যাচুরড হয়েছে। কাজেই এখানে ফাঁকি দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এটা বিরাট পদক্ষেপ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি অবগত আছেন। উনি ওনার বক্তৃতায় কয়েকদিন আগে এটা উল্লেখ করেছেন। সবকিছুই বীমাখাতের উন্নয়নের জন্য। আজ যে সিস্টেম উদ্বোধন করতে যাচ্ছি এতে মানি লন্ডারিং কমে যাবে। কেওয়াইসি সিস্টেম সংযুক্ত করতে পারব। যারা মানি লন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করতে পারব। আয়োজকদের অনেক দায়িত্ব আছে এটা প্রচার করার জন্য, যারা যারা বীমা করেননি তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য। এখন ভয়ের কোনো কারন নেই ,এখন ডিজিটাল সিস্টেম আছে। গ্রাহকদের যাচাই-বাছাইয়ে ভোটার আইডি কার্ডের ব্যবহার চালু হয়েছে।