নতুন ব্যবসা কমেছে ৮ কোটি টাকা, বেতন বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। অথচ উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলকৃত সোনালী লাইফের ২০১৯ সালের ব্যবসা সমাপনী হিসাব পর্যালোচনা করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
আইডিআরএ’র কাছে দাখিলকৃত ব্যবসার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ ৫৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে এসে এই সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকায়। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় গেলো বছরে সোনালী লাইফের নতুন ব্যবসা সংগ্রহ কমেছে ৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বা ১৪.২৪ শতাংশ।
অন্যদিকে ২০১৮ সালে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাবদ খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা কোম্পানিটির মোট ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের ১৪ শতাংশ। ২০১৯ সালে এসে কোম্পানিটি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাবদ খরচ করেছে ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যা ওই বছরে মোট ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের ২০ শতাংশ। অর্থাৎ গেলো বছরে কোম্পানিটি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা বা ৭৫.৫৮ শতাংশ।
এ ছাড়াও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৮ সালে অফিস কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ খরচ করেছে ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে এসে কোম্পানিটি অফিস কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ খরচ করেছে ৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ গেলো বছরে কোম্পানিটি অফিস কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি করেছে ৮৯ লাখ টাকা বা ১৬.৭৯ শতাংশ।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত চন্দ্র আইচ’র সঙ্গে ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’র পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে তার মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। তবে তাতেও তিনি সাড়া দেননি। এরপর তার ফোনে কল দিলে তিনি আর রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স সর্বমোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৮১ কোটি ৫ লাখ টাকা। ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে ৩৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৯৬ কোটি টাকা। আর বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এ ছাড়াও কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।