বীমা দাবি পরিশোধ না করলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: শেখ কবির হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন বলেছেন, আমার কোম্পানি হোক, আর যার কোম্পানিই হোক, বীমা দাবি পরিশোধ না করলে কঠোর অ্যাকশন নিতে হবে। তিনি বলেন, কত টাকা দাবি পরিশোধ হয়েছে তা নয়, বরং কোন টাকাই বকেয়া রাখা যাবে না। যখনই দাবি উত্থাপন হবে তখনই পরিশোধ করতে হবে।

আজ বুধবার লাইফ বীমা কোম্পানির গ্রাহকদের মৃত্যুদাবির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বঙ্গবন্ধু আশার আলো-বীমা দাবি নিষ্পত্তির প্রয়াস’ নামে এই অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

শেখ কবির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু পেশা হিসেবে বীমা সেক্টরকে বেছে নিয়েছিলেন কারণ, তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের সর্বস্তরের জনগণের সাথে যাতে তার একটা সম্পৃক্ততা থাকে। এর মাধ্যমে তিনি তার রাজনীতি তথা বাংলাদেশকে স্বাধীন করার যে ইচ্ছা এবং দুঃখি মানুষের পিছনে দাঁড়ানো, বজ্রকণ্ঠে কথা বলা; এসব কিছুর জন্য সর্বপরি তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্যই এই বীমাশিল্পে যোগদান করেছিলেন।

দেশের সমস্ত স্থাপনা বীমার আওতায় আনার প্রস্তাব দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন শেখ কবির হোসেন বলেন, বীমার আওতায় যদি সবকিছু আনা হয় তাহলে রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনা ঘটবে না। মানুষের জীবন যেমন নিরাপদ থাকবে তেমনি সম্পদও। এখন কোন দুর্ঘটনা হলেই সরকারকে তাকাতে হয়, শিল্প মালিকদের সহযোগিতা নিয়ে তাদেরকে দিতে হয়।

কিন্তু সকল প্রতিষ্ঠান বীমার আওতায় আনা হলে তখন এটা করতে হবে না। বাড়িটি ঠিক আছে কিনা, তার কাঠামো ঠিক মতো হয়েছে কিনা, সেটার বিদ্যুৎ লাইন ঠিক আছে কিনা সবকিছু দেখে তার পর বীমা করবে। এ ছাড়াও আমাদের আরেকটি প্রস্তাবনা অনুসারে ট্যাক্স গ্রহণের সময় বাড়িটিতে বীমা আছে কিনা সেটা যদি দেখা হয় তাহলে বাড়িটি নিরাপদ থাকবে।

তিনি বলেন, বীমা শিল্পের শুধু দাবির বিষয়টি দেখলেই হবে না। ইন্স্যুরেন্স একাডেমিসহ সংশ্লিষ্ট অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও শক্তিশালী করতে হবে। তাহলেই কেবল বীমাখাত শক্তিশালী হবে এবং বীমা দাবিও পরিশোধ হবে।

সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলামের উদ্দেশ্যে শেখ কবির হোসেন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়াল্ড ব্যাংকের মাধ্যমে অটোমেশন করা হচ্ছে। এখানে বিরাট একটা অংশ হচ্ছে বেসরকারি খাত। সেই বেসরকারি খাতও যেন অটোমেশন করা হয়। তিনি বলেন, একটা অঙ্গ যদি দুর্বল থাকে কোন সময় সেটা শক্তিশালী করা যায় না। তাই সবগুলো অঙ্গ যাতে সঠিকভাবে চলে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।