বঙ্গবন্ধু লাইফ বীমাকে বেছে নিয়েছিলেন দেশকে স্বাধীন করতে: শেখ কবির হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে লাইফ বীমাখাতকে বেছে নিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। আজ বুধবার লাইফ বীমা কোম্পানির গ্রাহকদের মৃত্যুদাবির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

‘বঙ্গবন্ধু আশার আলো-বীমা দাবি নিষ্পত্তির প্রয়াস’ নামে এই অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে ১২টি লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠানের ২৪ কোটি ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ৯১১ টাকার মৃত্যুদাবির চেক হস্তান্তর করা হয়।

শেখ কবির হোসেন বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম- আমরা অবহেলিত হতে পারেনি, কিন্তু আমরা গর্বিত; কারণ বঙ্গবন্ধু এই বীমা পরিবারেরই সদস্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু বীমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি আলফা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে জয়েন করেছিলেন দেশকে স্বাধীন করার জন্য। তিনি সফলও হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বলেন, যথাসময়ে যেন বীমা দাবি পরিশোধ করা হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে আইডিআরএকে। কারো পাওনা যেন অপরিশোধিত না থাকে। তিনি বলেন, গ্রাহকদের আমানত দিয়ে কোম্পানির সম্পদ বানিয়েছে। আমানত খেয়ানত করা পাপ, এটা আমাদের ধর্মে আছেন। এটাকে কোনভাবে ছাড় দেয়া যাবে না।

শেখ কবির হোসেন বলেন, কেউ আইন না মানলে তাকে আইন মানতে বাধকে করতে হবে। প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে। প্রয়োজনে স্থায়ীভাবে সনদ বাতিল করত হবে। তিনি আরো বলেন, ঘরে বসে আমি পোলও কোর্মা খাচ্ছি, আর ঘরের বাইরে আমার পাওনাদার ঘোরাঘুরি করছে- এটা হয় নাকি।

বিআইএ প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, আইডিআরএ’র কাছে আমার অনুরোধ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। আমি আপনাদের সাথে আছি। প্রধানমন্ত্রীও এটা নিয়ে গর্ব করেন। তিনি বলেন, দাবি পরিশোধের জন্য সময় বেধে দিন। তিন মাস নিয়মে আছে। প্রয়োজনে ছয় মাসের মধ্যে সব দাবি পরিশোধ করার নির্দেশ দিন।