জেনিথ ইসলামী লাইফে গ্রুপ বীমা

২৫শ’ টাকায় মিলল ১০ লাখ টাকার বীমা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা গ্রহণের পর প্রিমিয়াম পরিশোধ করা হয় ২ হাজার ৫শ’ টাকা। এরপর মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন গ্রাহক। সকল কাগজপত্র হাতে পাওয়ার চার দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয় এই বীমা দাবি। আর গ্রাহকের নমিনিকে দেয়া হয় মৃত্যুদাবির ১০ লাখ টাকা। গ্রুপ বীমা চুক্তির আওতায় এই বীমা দাবি পরিশোধ করেছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেওরাপাড়ায় ইয়ুথ গ্রুপের হেড অফিসে বীমা গ্রাহকের মৃত্যুদাবির এই চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। মৃত গ্রাহকের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান পেট্রোম্যাক্স এলপিজি হেড অব এইচআর মিসেস লুতফুন নাহারের নিকট এই চেক হস্তান্তর করেন জেনিথ ইসলামী লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান ও ইয়ুথ গ্রুপের চেয়ারম্যান রেজাকুল হায়দার।

জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোম্যাক্স এলপিজি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস সালাউদ্দিন আহমেদ। আরো উপস্থিত ছিলেন জেনিথ ইসলামী লাইফের জিএম (এইচআর) ও কোম্পানি সচিব আবদুর রহমান।

তথ্য অনুসারে, কর্মকর্তাদের জন্য জেনিথ ইসলামী লাইফে গ্রুপ বীমা করেছিল পেট্রোম্যাক্স এলপিজি লিমিটেড। এই চুক্তির আওতায় সদস্য প্রতি ২ হাজার ৫শ’ টাকা প্রিমিয়াম পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানটি। এরইমধ্যে গত ৯ অক্টোবর মংলা হতে খুলনা যাওয়ার পথে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন প্রতিষ্ঠানটির জুনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার (এইচআর) মো. মকসেদুর রহমান। ওই চুক্তির আওতায় বীমা দাবিটি পরিশোধ করা হলো।

উল্লেখ্য ২০২০ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফ ১৩টি মৃত্যুদাবি বাবদ ১১ লাখ ৬১ হাজার টাকা, ৮টি গ্রুপ বীমার দাবি বাবদ ২৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা, হাসপাতাল বীমার ৭টি দাবি বাবদ ১ লাখ ৪ হাজার টাকা, ৫৪৭টি এসবি বাবদ ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং ১৭টি সারেন্ডার বাবদ ২ লাখ ২২ হাজার টাকা এবং প্রথম একক প্রদান বীমা বাবদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে।