স্বপরিবারে জীবন বীমা করলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পরিচালক আবদুল করিম

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বপরিবারে জেনিথ ইসলামী লাইফের জীবন বীমা গ্রহণ করলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ (ফাইন্যান্স এন্ড একাউন্টস) মোহাম্মদ আবদুল করিম। বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামানের নিকট থেকে সোমবার (৯ আগস্ট) পরিবারের পক্ষে এসব পলিসির দলিল গ্রহণ করেন আবদুল করিম ও আফজাল হোসেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেনিথ ইসলামী লাইফে আরো জানিয়েছে, গত ১৫ জুলাই আবদুল করিম তার পরিবারের ৬ জন সদস্যের জন্য একসাথে ৬টি জীবন বীমা পলিসি গ্রহণ করেন। বীমা কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে বীমা দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেনিথ লাইফের ভিপি মো. নিজাম উদ্দিন, ডিভিপি মো. আনোয়ার হোসেন সরকার, এভিপি মো. মজিবুর রহমান।

পলিসিগুলোর মধ্যে ২টি পেনশন পলিসি এবং ৪টি শিশু নিরাপত্তা পলিসি। অবসরকালীন বয়সে আর্থিক নিশ্চয়তার কথা বিবেচনা করে আবদুল করিম এবং তার সহধর্মিণী যোবায়দা আক্তার উভয়ে দুটি পেনশন পলিসি  গ্রহণ করেন ৷ এতে করে  বয়স ৬০ বছর  অতিক্রম করলে প্রতি মাসে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা হারে আজীবন পেনশন প্রাপ্য হবেন৷

গ্রাহক ইচ্ছা করলে ১০ বছরের পেনশনের অর্ধেক টাকা অর্থাৎ ৬ লাখ টাকা পেনশন শুরু হওয়ার তারিখে উত্তোলন করতে পারবেন। তারপর মাসে মাসে ৫ হাজার টাকা হারে আজীবন পেনশন নিতে পারবেন। পেনশন প্রাপ্তি শুরুর তারিখ হতে ১০ বছরের মধ্যে পেনশনারের মৃত্যু হলে ১০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত উপরোক্ত হারে পেনশন পাবেন পলিসির মনোনীত ব্যাক্তি। প্রিমিয়াম প্রদানকালে গ্রাহকের মৃত্যু হলে পলিসির মনোনীতক পাবেন ১২ লাখ টাকা।

এ ছাড়াও অভিভাবকের অবর্তমানে আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে সন্তানের লেখাপড়া যেন ব্যাহত না হয় সে জন্য আবদুল করিম তার ২ সন্তান মোহাম্মদ যোবায়ের ও মোহাম্মদ যায়েদ এবং তার বড় ভাই মরহুম মো. আলমগীর হোসেনের ২ সন্তান মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন ও মোহাম্মদ আফজাল হোসেনের জন্য নিয়েছেন ৪টি শিশু নিরাপত্তা বীমা।

এতে করে পলিসির মেয়াদ পূর্তি পর্যন্ত প্রিমিয়াম দাতা এবং সন্তান উভয়ে বেঁচে থাকলে প্রতি পলিসির জন্য পৃথকভাবে  প্রাপ্য হবেন সম্পূর্ণ বীমা অংক অর্থাৎ ৮ লাখ টাকা এবং অর্জিত মুনাফা। প্রিমিয়াম দাতার অবর্তমানে অর্থাৎ মৃত্যুতে তারা প্রত্যেকে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা হারে বৃত্তি প্রাপ্য হবেন পলিসির মেয়াদ পূর্তি পর্যন্ত অর্থাৎ তাদের বয়স ৩০ বছর পূর্তি হওয়া পর্যন্ত। প্রিময়াম দাতার মৃত্যুর দিন হতে মেয়াদ পূর্তি পর্যন্ত আর কোন প্রিময়াম দিতে হবে না। এছাড়াও প্রতিটি পলিসি স্বয়ংক্রিয়  চালু থাকবে। মেয়াদ পূর্তিতে প্রতি সন্তানকে পৃথকভাবে সম্পূর্ণ বীমা অংক অর্থাৎ ৮ লাখ টাকা এবং অর্জিত বোনাস প্রদান করা হবে।

মেয়াদ পূর্তির পূর্বে যদি সন্তানের মৃত্যু হয় তবে  নিয়মানুযায়ী আংশিক বা সম্পূর্ণ বীমা অংক প্রাপ্য হবেন প্রিমিয়ামদাতা। প্রিমিয়াম দাতার মৃত্যুর পর বৃত্তি চলাকালে যদি সন্তানের মৃত্যু হয় তবে বৃত্তি প্রদান বন্ধ হয়ে যাবে এবং মেয়াদ পূর্তিতে সম্পূর্ণ বীমা অংক অর্থাৎ ৮ লাখ টাকাসহ অর্জিত মুনাফা পলিসির মনোনীতদেরকে পরিশোধ করা হবে। পারিবারিক আর্থিক নিরাপত্তার জন্য গ্রহণকৃত এই ছয়টি পলিসির বিপরীতে বার্ষিক প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হবে মোট ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮৬৮ টাকা।

এ বিষয়ে আবদুল করিম বলেছেন, বীমা মানুষের পরম বন্ধু। প্রকৃতপক্ষে বিপদের সময় বীমা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তিনি আরো বলেন, পারিবারিকভাবে এবং কর্মস্থলে অনেক কর্মচারী-কর্মকর্তাসহ অনেকে এ সুবিধা পেয়ে আসছেন ৷ এটা শুধু বীমাই নয়, এটি এক প্রকার ব্যক্তিগত সঞ্চয় ৷ ইসলামী মূল্যবোধ এবং সেবার মান বিবেচনায় আমি জেনিথ ইসলামী লাইফে বীমা করতে আগ্রহী হই ৷