সাধারণ বীমার পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, ব্যবস্থা নিতে আইডিআরএকে দুদকের চিঠি
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সাধারণ বীমা করপোরেশন (এসবিসি)’র পরিচালক তাফাজ্জল হোসেন ফরহাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’কে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।
তবে অভিযোগের বিষয়টি সাধারণ বীমা করপোরেশন সংশ্লিষ্ট হওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এটি সাধারণ বীমা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশনে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষে দাখিল করা এই অভিযোগপত্রে কারো নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তাফাজ্জল হোসেন ফরহাদ ট্যাক্স ও ভ্যাট ফাঁকির কনসালটেন্সি করে সরকারকে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করেছেন। আর নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে সাধারণ বীমা করপোরেশনের পরিচালক পদ ব্যবহার করে বিভিন্ন বীমা কোম্পানির পলিসি ক্লেইম আটকে রেখে এবং কৌশলে বিপুল অংকের কমিশন গ্রহণের নজির রয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদে অসত্য তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে সাধারণ বীমা করপোরেশনের ক্ষতিসাধণে লিপ্ত রয়েছেন তাফাজ্জল হোসেনে। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও পদায়নের সঙ্গেও তিনি জড়িত।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক, এমডি, ডিএমডি পদসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদের নিয়োগ-বদলি পদোন্নতি-অপসারণের মতো তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও তাফাজ্জল হোসেন সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক হতে বিভিন্ন অযোগ্য কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে লোন পাইয়ে দেয়ার মাধ্যমে মোটা অংকের কমিশন গ্রহণের মতো অপরাধ করে চলেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই অভিযোগপত্রে।
নিজের বিও একাউন্ট থেকে প্রায় ২ কোটি ৭ লাখ টাকর শেয়ার বিক্রি করে একাউন্ট বন্ধ করাসহ শেয়ার বাজার থেকে তিনি প্রায় ১২ কোটি টাকা সরিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধান করা হলে তাফাজ্জল হোসেনের ব্যাংক একাউন্টে কোটি কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া যাবে বলেও দাবি করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাফাজ্জল হোসেন ফরহাদ। ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ ধরণের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কেউ হয়তো ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ করে থাকতে পারে। আমি এসব অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে জানতে আইডিআরএ’র নির্বাহী পরিচালক (যুগ্মসচিব) ও মূখপাত্র এস এম শাকিল আখতারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি মিটিংয়ে আছেন উল্লেখ করে পরে কথা বলবেন বলে জানান। কিন্তু পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।