সংশোধন হচ্ছে রিভিউ প্রবিধানমালা, ফি বাড়বে ১০ গুণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সংশোধন করা হচ্ছে রিভিউ এর সময়, ফরম ও ফি প্রবিধানমালা ২০১৫। এক্ষেত্রে রিভিউ আবেদনের ফি ১০ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র ১৩৯তম সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, আইডিআরএ চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য বা কর্মকর্তার আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সংক্ষুব্ধ হলে ৪৫ দিনের মধ্যে এক হাজার টাকা ফি দিয়ে রিভিউ আবেদনের বিধান রয়েছে।
২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট ‘রিভিউ এর (সময়, ফরম ও ফি) প্রবিধানমালা, ২০১৫’ নামে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
আইডিআরএ বলছে, বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে উক্ত প্রবিধানমালা মোতাবেক প্রায় সকল কোম্পানিই রিভিউ আবেদন করছে। এ কারণে একই বিষয়ে কয়েকবার শুনানি করতে হচ্ছে।
তবে রিভিউ আবেদনের পরে অনুষ্ঠিত শুনানিতে ওই সকল কোম্পানি প্রায়শ নতুন কোন তথ্য উপাত্ত প্রদান না করায় কর্তৃপক্ষের পূর্বের সিদ্ধান্তই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বলবৎ থাকছে।
ফলে একই বিষয়ে একাধিকবার নথি উপস্থাপন, কার্যবিবরণী প্রস্তুত এবং পত্র আদান-প্রদান বেড়ে যাওয়ায় একটি বিষয় নিষ্পত্তি করতেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় ক্ষেপণ হচ্ছে।
এ ছাড়াও কর্তৃপক্ষের লোকবল সংকট থাকায় ও একই কাজ বারবার করায় দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে এবং অনেক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সময় ও বাস্তবতার নিরিখে রিভিউ ফি এক হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকা বা আরোপিত জরিমানার ২%, যেটা বেশি তা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে বিষয়টির যৌক্তিকতা তুলে ধরে নথিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর আইন/বিধি/প্রবিধান (আইন অনুবিভাগ) হতে প্রবিধানমালাটির প্রয়োজনীয় সংশোধন করে গেজেট আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রিভিউ এর (সময়, ফরম ও ফি) প্রবিধানমালা, ২০১৫ এর সংশোধনের বিষয়ে জানতে কর্তৃপক্ষের সদস্য (আইন) মো. দলিল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে ফোনে কিছু বলতে রাজি হননি।
একইসঙ্গে তিনি বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (আইন এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব: নন-লাইফ) এস এম শাকিল আখতারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
তবে কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (আইন এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব: নন-লাইফ) এস এম শাকিল আখতারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।