'বীমা শিল্পে স্বচ্ছতা' রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট (বিআইপিডি) এর ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে “বীমা শিল্পে স্বচ্ছতা” রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করা হয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে বিআইপিডি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। 

বিআইপিডির মহাপরিচালক কাজী মো. মোরতুজা আলীর সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যোগদান করেন জীবন বীমা কর্পোরেশন ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্ণর ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন, অ্যাকচুয়ারি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল লাইফের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর ও বিআইপিডি’র একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য দাস দেব প্রসাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিআইপিডি’র একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক এম মুজাহিদুল ইসলাম, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও কাজীম উদ্দিন; কে এম দাস্তুর এন্ড কোম্পানির সিইও মো. আনোয়ার হোসেন, ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র সম্পাদক ও প্রকাশক মোস্তাফিজুর রহমান টুংকু এবং নিটল ইন্স্যুরেন্সের ডিএমডি মনিরুল ইসলাম।

রচনা প্রতিযোগিতায় তিন বিভাগে মোট ৪০ জন প্রতিযোগি অংশগ্রহন করে। তিন বিভাগে ৮ জন বিজয়ী হয়। A বিভাগ থেকে ২ জন, B বিভাগ থেকে ৩ জন এবং C বিভাগ থেকে ৩ জন।

বিভাগ ‘A’ তে প্রথম হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এসকে মেহের আনসারি মাহিম, দ্বিতীয় হয়ছে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ক্লেইম অফিসার তাসলিমা আক্তার।

বিভাগ ‘B’ তে প্রথম হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী সাবরিনা মনসুর, দ্বিতীয় হয়েছে নিটল ইন্স্যুরেন্সের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোনিরুল ইসলাম, তৃতীয় হয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশনের সিনিয়র সহকারি কর্মকর্তা মোশিউর রহমান।

বিভাগ ‘C’ তে প্রথম হয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশনের জুনিয়র কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন মিয়া, দ্বিতীয় হয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশনের সহকারি ব্যবস্থাপক নিউটন মিয়া, তৃতীয় হয়েছে ফ্রিল্যান্স প্রশিক্ষক মোহাম্মদ আলামিন।

বিভাগ ‘A’ এর বিজয়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এসকে মেহের আনসারি মাহিমের কাছে মুঠোফোনে বীমা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বীমা একটি পরিচিত শব্দ। এটি এমন একটা ব্যবস্থা যেটা বিভিন্ন ধরণের ঝুঁকির বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে। মানে এটাকে অনেকটা বিভিন্ন নেতিবাচক ঘটনার জন্য একটা Failsafe অপশন হিসেবে উল্লেখ করা যায়।

কোনো পরিবারের মুখ্য উপার্জনশীল ব্যক্তিটি যদি হঠাৎ করে মারা যায়, তাহলে সে পরিবারের আর্থিক ভরণপোষণের কী হবে? তেমনভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি আগুন লাগে কিংবা কোনো গাড়ি যদি দূর্ঘটনায় পড়ে, তবে সেটির পুনরুদ্ধার কীভাবে ঘটবে? এসকল ক্ষেত্রে বীমা-ই এসব প্রশ্নের একমাত্র উত্তর হয়ে দাড়ায়। বীমা শিল্পে স্বচ্ছতা আনলে দেশের মানুষ বীমার উপর ভরশা পাবে বা নিরাপদ স্থান খুজে পাবে।