অর্থনীতি যেভাবে আগাচ্ছে সেখানে বীমা খাত অনেক পিছিয়ে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অর্থনীতি যেভাবে আগাচ্ছে সেখানে বীমা খাত অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ( বিএসইসি)’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল ২০২২) রাজধানীর তোপখানাস্থ ফারইস্ট ইসলামী লাইফের প্রধান কার্যালয়ে কোম্পানিটির বীমা দাবি পরিশোধ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত বলেন, জিডিপি বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন মানুষ নতুন কিছু ভাবতে থাকে পরিবারের জন্য, নিজের জন্য। যে বাইসাইকেল চালায়, সে বাইক নিতে চায়; আর যে বাইক চালায়, সে চার চাকার গাড়ি নিতে চায়। যখনই আপনার সম্পদ হবে তখন নিজের জীবন নিয়ে ভাববেন, পরিবার নিয়ে ভাবেন। যখনই আপনার পরিবার ও সম্পদ নিয়ে ভাববেন তখন কিন্তু ইন্স্যুরেন্সের বিষয় চলে আসবে। সেটা সাধারণ বীমা হোক কিংবা লাইফ বীমা।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশের অর্থনীতিক এগিয়ে যাচ্ছে। বীমা শিল্প সেক্ষেত্রে পিছিয়ে। কিন্তু এখনো বাংলাদেশের বীমা শিল্পে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ আছে। বিশ্বে অন্যান্য দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যান্য সেক্টরের মত বীমা শিল্পও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এক্ষেত্রে আমাদের কিন্তু আগের থেকে অনেক বেশি কাজ করতে হবে। ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ইসলামী নিয়ম-কানুন মেনে চললেও একইসাথে সরকারের নিয়ম মেনে ব্যবসা করেতে হবে।
কয়েকদিন আগে দেখা গেছে লেবানন, শ্রীলঙ্কা নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। নেপাল ও পাকিস্তানের অবস্থা দেখে তাদেরকেও বিশ্বব্যাংক সিগনাল দিয়ে রেখেছে। সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
বীমা কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম সংগ্রহের বিষয়ে তিনি বলেন, আজকে দেশের ভেতরে বিদেশি প্রতিষ্ঠান মেটলাইফ ভালো ব্যবসা করছে। তারা ব্যবসা করে প্রতি বছর লভ্যাংশ নিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমরা পারব না কেন?
ফারইস্ট লাইফের সম্পর্কে তিনি বলে, প্রধানমন্ত্রী আপনাদেরকে প্রথম ধাপে অনুমোদন দিয়েছিলেন। ফারইস্ট লাইফ অনেক ভালো কোম্পানি ছিল এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে অনেক ভালো ব্যবসা করেছিল। ইসলামে কিছু বিষয় আছে যেগুলো ব্যক্তি জীবনে না মানলে তা কখনো বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। তিনি বলেন, সুদ এবং লোভ সবকিছুই ধ্বংস করে দিতে পারে। লোভ নিজেকে তো বটেই, আশেপাশের মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকেও ধ্বংস করে দেয়। ফারইস্ট লাইফেও সেরকমই ঘটনা ঘটে গেছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, প্রতিদিনই তো মানুষের উন্নতি হয়, কেন আপনাদের ডিমশন হবে। প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে কি হবে- ইনকাম কমে যাবে; ইনকাম কমে গেলে এখানে যারা চাকরি করে তাদের চাকরি চলে যাবে। আমরা আশা করি এবারের পরিচালনা পর্ষদে যারা এসেছেন তারা সুস্থ ও সুন্দরভাবে কাজ করবেন। তারা নিশ্চয়ই সৎ চরিত্রবান এবং তারা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে এসেছেন। আমরা আশা করি আবারো ফারইস্ট ইসলামী লাইফ এক নাম্বারের অবস্থান করবে।