বন্যা ও সাইক্লোন প্রবণ এলাকার মানুষকে বীমার আওতায় আনতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন: নাসির উদ্দিন আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্যা ও সাইক্লোন প্রবণ এলাকার মানুষের জীবন ও সম্পদ বীমার আওতায় আনার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল) । দূর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বেসরকারিখাতের অংশগ্রহণ শীর্ষক একটি জাতীয় সিম্পোজিয়ামে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার (১৭ মে) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং সুপার প্রজক্টে কনসোরটিয়াম যৌথভাবে এ সিম্পোজিয়াম আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ‘প্রাইভেট সেক্টর ইমারজেন্সী অপরাশেন সেন্টার- পিইওসি’ উদ্বোধন করেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান এমপি।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে রিস্ক ফাইন্যান্সিং স্ট্রাটেজি শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড এর চেয়ারম্যান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।  সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইভাস্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান।

সেমিনারে কি নোট পেপার উপস্থাপন করেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ বাকি খলিলি।  আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার কে এম মিল্লাত; ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট এন্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেস এসোসিয়েশনের প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও মেঘনা লাইফ, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেস কোম্পানির ভাইস-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল) ।

নাসির উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দেশ যার জনসংখ্যা ১৬.১৪ কোটি। বৃহৎ ও মাঝারী ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে যে পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হবে তা সামলানো সরকারের একার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই অন্তত বহুতল ভবন ও শপিংমলসমূহ অগ্নি ও ভূমিকম্প ঝুঁকি বীমার আওতায় আনা বিশেষ প্রয়োজন।

এই প্রেক্ষিতে বন্যা, সাইক্লোন ও নদী ভাঙ্গন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ব্যাংকের বিনিয়োগকৃত কলকারখানা ও দোকানপাটের জন্য ‘ফ্লাড এন্ড সাইক্লোন’ বীমাঝুঁকি বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণের জন্য ব্যাংকিং নীতি গ্রহণের পরামর্শ দেন বিআইএ’র প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট। সাইক্লোন ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্র উপকূলে সকল নৌযানগুলোকে বীমার আওতায় আনারও তিনি প্রস্তাব করেন।  এ ছাড়াও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃক স্থাপিত ‘পিইওসি’ এর সাথে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের একটি সংযোগ স্থাপনের প্রস্তাব দেন।