বীমা কোম্পানির অর্থ লিয়েন রেখে অন্য ব্যক্তিকে ঋণ গ্রহণে সহায়তা, আইডিআরএ’র হুশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা কোম্পানির অর্থ লিয়েন রেখে অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ গ্রহণে সহায়তার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।  কোন বীমা কোম্পানি এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ার করেছে বীমা খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।  আজ রোববার (৩১ জুলাই) সার্কুলার নং- লাইফ ১১/২০২২ জারি করে এই হুশিয়ার করা হয়।

এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কতিপয় লাইফ বীমাকারী তাদের লাইফ ফান্ড থেকে বিনিয়োগকৃত স্থায়ী আমানত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লিয়েন রেখে অথবা জামানতদার হয়ে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে ঋণ পেতে সহায়তা করছে। ঋণগ্রহীতা কর্তৃক উক্ত ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বীমাকারীর লিয়েনকৃত অর্থ নগদায়নের মাধ্যমে বীমা গ্রহীতাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এছাড়াও বীমাকারীর লাইফ ফান্ডের অর্থ দিয়ে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে বা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় বীমা গ্রহীতাদের অর্থ স্থানান্তর বা আত্মসাতের ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে।

সার্কুলারে আরো বলা হয়, বীমা আইন, ২০১০ এর ২১ ধারা ও সংশ্লিষ্ট বিধান মোতাবেক নির্দিষ্ট অংকের মূলধন নিয়ে বীমা কোম্পানি গঠিত হয়। মূলধন ব্যতিত অবশিষ্ট সকল অর্থ বীমা গ্রাহকদের প্রিমিয়াম আয় থেকে উদ্ভুত হয়। গ্রাহকদের প্রিমিয়াম আয় দিয়েই ভবিষ্যতে বীমা গ্রাহকদের বীমা দাবি পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়াও বীমাকারীর সম্পদ যথাযথ প্রক্রিয়ায় দায়মূল্যায়ন শেষে উদ্বৃত্ত অর্থ বীমা গ্রহীতাদের মধ্যে বন্টনের পর অবশিষ্ট অংশ লভ্যাংশ হিসেবে কোম্পানির শেয়ার হোল্ডাররা প্রাপ্য হবেন।

বীমাগ্রহীতাদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের (লাইফ ফান্ডসহ) সম্পূর্ণ অর্থ লাইফ বীমাকারীর সম্পদ বিনিয়োগ প্রবিধানমালা, ২০১৯ অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে হবে। লাইফ ফান্ডের অর্থ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে লিয়েন বা জামানত রাখা এবং ঋণ প্রদান করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সার্কুলারে বলা হয়, বর্ণিত অবস্থায় কোম্পানির লাইফ ফান্ডের অর্থ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লিয়েন বা জামানত রেখে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ পেতে সহায়তা করা এবং কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে লাইফ ফান্ডের অর্থ দিয়ে ঋণ প্রদান না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হল।

বীমাখাতে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা এবং গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য উপরিউক্ত নির্দেশনা কঠোরভাবে পরিপালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হল। অন্যথায় বীমা আইন, ২০১০ অনুযায়ী কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।