সাশ্রয়ী মূল্যে নতুন স্বল্পমেয়াদী লাইফ বীমাপণ্য উদ্ভাবন ও বিপনণ প্রয়োজন: বিআইএ’র প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বিশ্বের মোট ৮০০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৫৯.৪ শতাংশ এশিয়া মহাদেশে বসবাস করে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন-যাপন পদ্ধতি অত্যন্ত বৈচিত্রময়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও আয়ের মানুষ হওয়ায় এসকল মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নতুন নতুন স্বল্প মেয়াদী লাইফ বীমাপণ্য উদ্ভাবন ও বিপনণ বিশেষ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রথম ভাইস প্রেসেডেন্ট ও কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল)।

সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স রিভিউ'র আয়োজনে ‘এশিয়া লাইফ ইন্স্যুরেন্স সামিট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে কানাডা, ব্রুনাই, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সাউথ কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র সহ মোট ১৩টি দেশ হতে প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। দুই দিন ব্যাপি এই সামিটে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উপর অভিজ্ঞ ২৪ জন বক্তা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও আধুনিক বিষয়ের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তন্মধ্যে এএক্সএ লাইফ এবং সুইস রি’র মতো খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণও বক্তব্য দেন।

সামিটে যে সকল বিষয়ের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করা হয় তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হেলর্থ ইন্স্যুরেন্স, প্রডাক্ট ডিজাইন, ইম্বিডেট ইন্স্যুরেন্স, ওয়ারব্লেস ইন ইন্স্যুরেন্স, এডভান্সড ডিজিটাল অন্ডাররাইটিং, ডিপ্রেশন এন্ড ডিম্নেশিয়া আফটার কোভিট, ব্যংকাসুরেন্স, ব্লোকচেইন এপ্লিকেশন ইন লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং ইন্স্যুরটেক।

সামিটে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স ও মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভাইস-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল) বলেন, এই প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে সম্প্রতি ভারতে বীমা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আইআরডিএআই) লাইফ বীমা কোম্পানির জন্য ‘ইউস এন্ড ফাইল’ পদ্ধতি চালু করেছে। যার মাধ্যমে এখন হতে নতুন লাইফ বীমাপণ্য বাজারজাতকরণের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রি-এপ্রুভাল প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র আইআরডিএআই কে অবগত করলেই যথেষ্ট। অন্যান্য দেশেও এই পদ্ধতি চালু করলে লাইফ বীমার আরো প্রসার ঘটবে।

নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল) তাঁর বক্তব্যে ১৫টি সম্ভাব্য নতুন লাইফ বীমাপণ্য এবং বিপনণ মাধ্যমের উপর কথা বলেন। ত্রিশ মিনিট দীর্ঘ বক্তব্য শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে লাইফ বীমা প্রসারের জন্য সম্ভাবনাময় একটি দেশ। কোভিড মহামারির সময়েও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়ার অন্যান্য দেশের কাছে ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশের রূপকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাইফ বীমার সাথে কর্ম জীবনে সম্পৃক্ত ছিলেন বিধায় তাঁর সুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীমা খাতে উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।

সামিট অনুষ্ঠানের শেষে তিনি উপস্থিত সিঙ্গাপুর লাইফ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন, মালয়েশিয়া লাইফ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন এবং ফিলিপাইন লাইফ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করেন।