বীমা কোম্পানিগুলোর এ্যাটিচিউড চেঞ্জ করতে হবে: আবদুল্লাহ হারুন পাশা
নিজস্ব প্রতিবেদক: যেকোন প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য থাকে ব্যবসা ও প্রফিট। তাদেরও তো এইম বেশি। কিন্তু তারা সার্ভিস দিবে পাশাপাশি প্রফিটও করবে- সেই বিষয়গুলোও দেখতে হবে। এ্যাটিচিউড চেঞ্জ করতে হবে, আমাদেরকে বীমা বান্ধব হতে হবে। এমনটাই বলেছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ হারুন পাশা।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রাণিসম্পদ খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে চতুর্থ শিল্পবিল্পব প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেমিনারের আয়োজন করে ‘আদর্শ প্রাণিসেবা লিমিটেড’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ।
আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, সরকার সব সময় সহযোগিতা করছে এবং এ দেশের প্রায় ৮১টি বীমা প্রতিষ্ঠান আছে, ২টি সরকারি এবং বাকিগুলো বেসরকারি। বীমা কোম্পানি যথেষ্ট আছে। তবে বীমা সম্পর্কে জনগণ জানে না- বীমাতে কি কি সুবিধা আছে বা নেয়া যায়। সে ক্ষেত্রে আমাদের বীমা কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে জনগণের কাছে গিয়ে তাদের বুঝাতে হবে যেন মানুষ বীমায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে যদি আমরা উন্নত দেশে উন্নীত হই তাহলে আমাদের এগুলোকেউ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের জিডিপিতে বীমার অবদান মাত্র ০.৫ শতাংশ। অথচ একটি ডেভেলপমেন্ট দেশে ১০ শতাংশ বা ১২ শতাংশ অবদান থাকে যেটা আমাদের লক্ষ্য ছিল ৪ শতাংশ। কিন্তু সেটা আমরা পারছি না। বিভিন্ন কারণে পারছি না; করোনা, তারপর যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে আমরা আড়াই বছর পিছিয়ে গেছি।
আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে যে ব্যাংক-বীমা খাতে যেন আমাদের দেশের জনগণ সহজ শর্তে সব কিছু পেতে পারেন। যাতে এই সেক্টর এগিয়ে আসে, এর জন্য যা যা করার দরকার অব্যশই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রাণালায় এটার জন্য কাজ করবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতায় সবকিছু আমরা যেন বাস্তাবায়ন করতে পারি। বীমা প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠন বা ব্যাংকগুলোকে যাতে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছায় এবং সহজ শর্তে ঋণ দিতে পারি। যাতে কোন ভয় না থাকে। এসব বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।