বীমা খাত অনেক পিছিয়ে আছে: শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেছেন, অন্য সকল খাত থেকে আমাদের বীমা খাত অনেক পিছিয়ে আছে। অন্য সকল খাত যেভাবে জিডিপিতে অবদান রাখছে বীমা খাত সেভাবে পারছেনা। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় তাদের বীমার পেনিট্রেশন কত বেশি। তাইওয়ানের ২০.১ শতাংশ, দক্ষিণ অফ্রিকার ১৪.৭০ শতাংশ ও ভারতের ৪ শতাংশ। আর আমাদের পেনিট্রেশন ০.৪ শতাংশ। তবে আমরা বলে থাকি ০.৫ শতাংশ। কিন্তু এটা অনেক কম।

বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় ঢাকার তোপখানা রোডের সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমির সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইন্স্যুরেন্স একাডেমির পরিচালক এস এম ইব্রাহিম হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন একচ্যুয়ারি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্যাহ হারুন পাশা এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, কয়েক দিন আগে জাতীয় বীমা দিবসকে ‘খ’ শ্রেণী থেকে ‘ক’ শ্রেনীতে উন্নিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে বীমা খাতের একজন গর্বিত সদস্য মনে করেন। তার বলিষ্ঠ হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের বীমা খাত। বীমা খাতের বিকাশের জন্য প্রয়োজন- আইনী কাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, সেবা সহজিকরণ, বীমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তিকরণ, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা ও সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় বীমা সেবা পৌঁছিয়ে দেয়া।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কিন্তু বীমা অফিসে নিজের জন্য চাকরি করেননি। তিনি দেশ, জাতি এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন করার হাতিয়ার হিসেবে বীমাতে কাজ করেছেন। এর ফলশ্রূতিতে ১৯৭৩ সালে বীমাকে জাতীয়করণ করেন। দেশে প্রথমে কিন্তু বীমার জন্য একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়, ব্যাংকের জন্য নয়। তাই আমাদের বুঝতে হবে বীমা সেক্টরের গুরুত্ব কতটুকু।

তিনি আরো বলেন, মন্ত্রণালয় বীমার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। একচ্যুয়ারির জন্য বেশ কয়েকবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। এবার দুইজনকে পাওয়া গেছে। তার মধ্যে একজন এরইমধ্যে চলে গেছে পড়ার জন্য। আরেকজন ভিসা সমস্যা থাকায় যেতে পারেনি। আগামী সেশনে তিনিও চলে যাবেন। আশা করি এখন থেকে প্রতি বছর দেশে একচ্যুয়ারি তৈরি হবে।