ক্যানসার চিকিৎসায় ডিজিটাল বীমা পরিকল্প চালু করেছে গার্ডিয়ান লাইফ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্যানসার রোগীর চিকিৎসায় দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল বীমা পরিকল্প চালু করেছে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স। সোমবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হল রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ক্যানসার চিকিৎসায় প্রথম এ ডিজিটাল বীমা পরিকল্প উদ্বোধন করা হয়।
গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রকিবুল করিম এফসিএ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্ট (ব্যানক্যাট)’র প্রতিষ্ঠাতা নাজমুস আহমেদ আলবাব এবং সাধারণ সম্পাদক মাহজাবিন ফেরদৌসসহ কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, একজন ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় বছরে প্রায় ৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে এই গুরুব্যধিতে আক্রান্ত স্বজনের ডাক্তারী পরামর্শ, সার্জারি, থেরাপি এবং ওষুধপত্রের খরচ বহন করতে হলে বেশিরভাগ পরিবার গুরুতর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। তাই বিশ্বব্যাপী যেহেতু ক্যান্সারের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে গার্ডিয়ান ক্যান্সার কেয়ার এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয়ে গ্রাহক এবং তার পরিবারের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।
গার্ডিয়ান ক্যান্সার কেয়ার অত্যন্ত সাশ্রয়ী বার্ষিক মাত্র ১৫০ টাকা প্রিমিয়াম থেকে শুরু করা যাবে। গার্ডিয়ান লাইফের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম- ইজিলাইফের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ক্রয় করা যাবে এই বীমা পরিকল্প। ইন্স্যুরেন্স পরিকল্পটির শর্তানুযায়ী, পলিসি গ্রাহক যদি ভবিষ্যতে ক্যান্সারএ আক্রান্ত হন তবে তাকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা অংক প্রদান করা হবে। এছাড়াও, পলিসি গ্রাহকের যদি আর্লি-স্টেজ ক্যান্সার শনাক্ত হয় সে ক্ষেত্রে তার পরবর্তী ৩ বছরের বীমা প্রিমিয়াম মওকুফ করা হবে।
অনুষ্ঠানে গার্ডিয়ান লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রকিবুল করিম এফসিএ বলেন, গার্ডিয়ান লাইফ সর্বদা বাংলাদেশে বিশ্বমানের জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা পরিষেবা প্রবর্তন করার চেষ্টা করে এসেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই গ্রাহকদের জন্য উদ্ভাবনী এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্স্যুরেন্স সেবা নিশ্চিত করাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের সাশ্রয়ী ডিজিটাল ক্যান্সার কেয়ার প্ল্যান আমাদের এই যাত্রায় আরেকটি মাইলফলক যোগ করবে।
তিনি বলেন, গার্ডিয়ান লাইফ গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ৯৮ শতাংশ বীমা দাবি পরিশোধ করেছি। গ্রাহকের হাতের নাগালে মানসম্পূর্ণ বীমা পণ্য পৌচ্ছে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে গার্ডিয়ান লাইফ। যাত্রার শুরু থেকেই ‘কাস্টমার ফার্স্ট’ ও ‘কোয়ালিটি সেলস’ মূলনীতি অনুসরণ করে আসছে গার্ডিয়ান লাইফ।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান বলেন, আমি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে যুক্ত হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স সম্পর্কে কোন নেতিবাচক অভিযোগ আসেনি। আইডিআরএ’র চোখে বর্তমান প্রেক্ষাপটে চতুর্থ প্রজন্মের লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স অন্যতম ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৫ টি লাইফ বীমা কোম্পানি কাজ করছে। তার মধ্যে যারা সর্বোত্তম সেবা দিতে পারবে তারাই এগিয়ে আসবে বা থাকবে। আমাদের গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে।
তিনি আরো বলেন, ক্যান্সার কেয়ার প্রথম গার্ডিয়ান লাইফ শুরু করেছে এই জন্য তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। বর্তমান সময়ে এই ধরনের পরিকল্প একটি সময় উপযোগি পরিকল্প। এর ফলে বীমা গ্রহীতাকে আর ভিটেমাটি বিক্রি করে ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে হবে না। গার্ডিয়ান লাইফ এখন থেকে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করবে।