জেনিথ ইসলামী লাইফের কোন বীমা দাবি পেন্ডিং নেই: ফরিদুন্নাহার লাইলী

নিজস্ব প্রতিবেদক: জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কোন বীমা দাবি পেন্ডিং নেই বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে আমরা দ্রুত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত এবং দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ করে ইতোমধ্যেই গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) কক্সবাজারে হোটেল সি প্যালেসে অনুষ্ঠিত কোম্পানির বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান।

সাবেক সংসদ সদস্য ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নয়নের মহীসোপানে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। বিগত ১৩ বছরে সরকারের নানাবিধ কর্মকাণ্ডে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৮০ ডলারে। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন সকলের জন্য বীমার প্রয়োজনীয়তা অনুভব হচ্ছে। আপামোর জনসাধারণের জন্য বীমার কোন বিকল্প নেই।

জেনিথ ইসলামী লাইফের কর্মকর্তা ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন বর্তমানে দেশে ৩৫টি লাইফ বীমা কোম্পানি কাজ করছে। এর মধ্যে যারা সর্বোত্তম সেবা দিতে পারবে তারাই এগিয়ে যাবে। তাই আমাদেরকে সর্বদা গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ইতিমধ্যেই পনের কোটি টাকার অধিক বীমা দাবি পরিশোধ করেছি। যার উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। চতুর্থ প্রজন্মের কোম্পানি হিসেবে এটি একটি মাইলফলক। আমরা এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে আমরা দ্রুত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত এবং দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ করে ইতোমধ্যেই গ্রাহকের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। গ্রাহকসেবা আরো ত্বড়ান্বিত করতে আমরা নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। অনলাইন প্রিমিয়াম পেমেন্ট সিস্টেম চালু, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রিমিয়াম সংগ্রহ, বাংলায় ওয়েবসাইট ও অ্যাপস তৈরি করে পলিসি সংক্রান্ত সকল তথ্য গ্রাহকের নিকট সহজবোধ্য করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা এসবি, মৃত্যুদাবি ও মেয়াদোত্তর দাবি পরিশোধ করে আসছি।

তিনি আরো বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন পরিকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। গ্রাহককে আমাদের বীমার সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। তবে মিথ্যা কথা বলে বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বীমা বিক্রি করা যাবে না। অন্যথায় বীমার প্রতি নেতিবাচক ধারনা তৈরি হবে। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও আমাদের সচেতন হতে হবে। কোনভাবেই প্রলোভন দেখিয়ে কাউকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে কোম্পানি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। অনিয়মের সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।

ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন সরকারি ট্রেজারি বন্ডে আমাদের বিনিয়োগ রয়েছে আড়াই কোটি টাকা, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এফডিআর রয়েছে ২৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। শেয়ার বাজারে আসার প্রাথমিক শর্ত হিসেবে ইতোমধ্যে আমরা সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্পন্সর শেয়ার বিক্রি করেছি। আমাদের পরিশোধিত মূলধন বেড়ে দাড়িয়েছে ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলেছে। আশাকরি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শেয়ার বাজারে আসার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

জেনিথ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ২০২২ ক্লোজিং শেষ হতে আর মাত্র এক মাস সময় বাকী আছে। আপনাদের সকলের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে অবশিষ্ট দিনগুলোতে কঠোর পরিশ্রম করে আপনারা আপনাদের ও কোম্পানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সচেষ্ট হবেন। বিশেষ করে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ যেন শতভাগ হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।