জেনিথ ইসলামী লাইফ নিখুঁতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে: কামরুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক: জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্মকাণ্ডে কোন খুঁত নেই; কোম্পানিটি নিখুঁতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে- এমন মন্তব্য করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান। তিনি বলেন, এর আগেও একটি অনুষ্ঠানে আমি বলেছিলাম জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ-তে কোন অভিযোগ নেই। আমি আজ আবারও বলে যাচ্ছি, জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। আমরা আশা করছি জেনিথ ইসলামী লাইফ অনেক ভালো করবে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) কক্সবাজারে হোটেল সি প্যালেসে অনুষ্ঠিত জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামরুল হাসান এসব কথা বলেন। বীমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান।
জেনিথ ইসলামী লাইফ সর্বোত্তম গ্রাহকসেবা দিয়ে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আইডিআরএ’র সদস্য কামরুল হাসান। তিনি বলেন, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইতোমধ্যে গ্রাহক আস্থা অর্জনে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে আমরা অবগত আছি। অনলাইন প্রিমিয়াম পেমেন্ট সিস্টেম, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রিমিয়াম আদায়, দ্রুত মৃত্যুদাবি পরিশোধ, নিয়মিত এসবি প্রদান ও মেয়াদোত্তর দাবি পরিশোধের মাধ্যমে এই কোম্পানির প্রতি গ্রাহক আস্থা তৈরি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জেনিথ ইসলামী লাইফ প্রতিষ্ঠার পর থেকে পনের কোটি টাকার অধিক বীমা দাবি পরিশোধ করেছে বলে আমরা অবগত হয়েছি। যা চতুর্থ প্রজন্মের কোম্পানি হিসেবে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। একইসঙ্গে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন বীমা পরিকল্প গ্রহণ করে আরো এগিয়ে যেতে হবে।
কামরুল হাসান বলেন, প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় বীমা সুবিধা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে আইডিআরএ নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কঠোর মনিটরিংয়ের ফলে গ্রাহক ভোগান্তি আগের চেয়ে বিপুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। কোম্পানিগুলো এখন নিয়মিত দাবি পরিশোধ করছে। ফলে বীমার প্রতি গ্রাহক আস্থা আগের চেয়ে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোম্পানিগুলো যাতে যথাসময়ে দাবি পরিশোধ করে সে ব্যাপারে আমরা সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি।
আইডিআরএ’র এই সদস্য বলেন, জাতীয় বীমা দিবস পালন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে বীমা মেলা আয়োজনের মাধ্যমে আমরা মানুষের নিকট বীমার বার্তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বরিশালে বিভাগীয় বীমা মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ইউএমপি সার্ভিস সিস্টেমের মাধ্যমে গ্রাহককে তার পলিসির তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। এফএ নিয়োগসহ অন্যান্য কার্যাবলী ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। এর ফলে জনসাধারণের মাঝে বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারনা তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রাহককে বীমার সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। মিথ্যা বা ছলনার আশ্রয় নিয়ে বীমা বিক্রি করা যাবে না। তাহলে বীমার প্রতি গ্রাহকের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। এতে দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানি এবং আপনারা নিজেরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। কারণ একটি বীমা পূর্ণ মেয়াদে চালু থাকলে তার কমিশনও বীমার মেয়াদকাল পর্যন্ত আপনারা ভোগ করতে পারবেন। মনে রাখবেন একজন গ্রাহক আপনার সেবায় সন্তুষ্ট থাকলে তিনি আপনাকে নতুন গ্রাহক তৈরিতে সাহায্য করবেন। এতে কোম্পানির এবং আপনার উভয়েরই আয় বৃদ্ধি পাবে।