চট্টগ্রামে আইডিআরএ’র মতবিনিময় সভা: বীমা দাবি পরিশোধের উপর গুরুত্বারোপ
নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন নতুন বীমা পরিকল্প তৈরী, বীমা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, যথাসময়ে বীমা দাবি পরিশোধ এবং গ্রাহক হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান চট্টগ্রামে মতবিনিময় সভায় বক্তারা।
সভায় বক্তারা বলেন, গ্রাহক যদি তার প্রিমিয়ামের টাকা সঠিক সময়ে ফেরত না পায়, টাকা পকেটে রেখে গ্রাহককে হয়রানি করা হয় তাহলে এই ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাবে। গ্রাহক হয়রানি বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার গ্রহণ করতে হবে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বীমা খাতে জড়িত বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গের সাথে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন।
সভায় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন বলেন, যে দেশের বীমা খাত যত উন্নত, সে দেশের অথনীতি তত সুদৃঢ়। বীমাখাতে আস্থার সংকট আছে এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। এ জন্য যথাসময়ে বীমা দাবি পরিশোধের মাধ্যমে এ খাতের আস্থা ফিরিয়ে আসতে পারে। তাই সকল বীমা কোম্পানিকে দাবি পরিশোধের উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, বীমা কোম্পানি ও বীমাগ্রহীতার মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরীর জন্য আজকের এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। বীমাখাত একটি টেকনিক্যাল বিষয়; বোঝা সহজ নয়। এজন্য বীমার বিষয়টি সাধারণ শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার ও প্রচারণা বাড়ানোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বীমা কোম্পানিগুলোতে কর্পোরেট গর্ভনেন্স নিশ্চিত ও দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে।
সভার প্রধান অতিথি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, বীমা খাত বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অংশ এবং অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত। বীমা শিল্পের পেনিট্রেশন বৃদ্ধি এবং আস্থার সংকট নিরসনে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। আর কী কারণে এ সংকট, তা চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ১০০ জন গ্রাহকের মধ্যে ৯৯ জনকে সন্তুষ্ট করতে পারলেও একজনকে যদি সন্তুষ্ট করা না যায় উনি তার বিষয়টি প্রচার করবেন; কোম্পানির বদনাম করবেন। যাতে করে ৯৯ জনের ভালো কাজের কোন দাম থাকবে না। তাই বীমা খাতে আস্থা অর্জনের জন্য শতভাগ বীমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ করতে হবে।
সভায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন সহ এ সময় চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।