ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা হোমল্যান্ডের, ৫ মাসে ২৩ কোটি টাকার দাবি পরিশোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে কোম্পানিটি চলতি বছরের জুন মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১২ হাজার ৫২৬ গ্রাহকের বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। এসব গ্রাহকের বীমা দাবির পরিমাণ ২৩ কোটি ৯ লাখ ৯৪ হাজার ৯১৬ টাকা।

হোমল্যান্ড লাইফ কর্তৃপক্ষ বলছেন, নতুন উদ্যোমে তারা কার্যক্রম শুরু করেছেন। বীমা গ্রাহকদের দাবি পরিশোধকে গুরুত্ব দিয়ে কোম্পানির প্রিমিয়াম সংগ্রহ বৃদ্ধি ও ব্যয় হ্রাসের পরিকল্পিত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যার ফলে গত ৫ মাসে কোম্পানির ব্যয়ের হার পূর্বের তুলনায় অনেক কমেছে।

কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, গেলো ৫ মাসে হোমল্যান্ড লাইফ ৫ হাজার ৪৬ গ্রাহকের মেয়াদোত্তর বীমা দাবির ১৩ কোটি ৩৬ লাখ ২৬ হাজার ৭০ টাকা পরিশোধ করেছে। এ ছাড়াও সমর্পন বীমা বাবদ ১৫৯ গ্রাহকের ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৬ টাকা, প্রত্যাশিত সুবিধা বীমার ৪ হাজার ৫ গ্রাহকের ৩ কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৩ টাকা এবং মৃত্যুদাবি বাবদ ৬৩ গ্রাহকের ২৫ লাখ ৫০ হাজার ১৮০ টাকা পরিশোধ করা হয়।

এ ছাড়াও বীমা কোম্পানিটির বকেয়া ভ্যাটের মধ্যে ১০ লাখ টাকার ভ্যাট সবকারি কোষাগারে জমা করেছে। বর্তমানে কোম্পানিটির প্রিমিয়াম সংগ্রহ বিগত মাসগুলোর চেয়ে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। খুব শিগগিরই কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে আসার চেষ্টাও চলছে। এরইমধ্যে কোম্পানিটির মূলধনের ঘাটতি পূরণ হয়েছে। পুঁজিবাজারে আসার অন্যান্য কার্যক্রমও এখন শেষ হওয়ার পথে।

গত ২৪ মে হোমল্যান্ড লাইফের মুখ্য নির্বাহী পদে যোগদান করেন ড. বিশ্বজিৎ কুমার মণ্ডল। তিনি বলেন, কোম্পানির উন্নয়নে তিনি নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার যোগদানের পর এই অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধান কার্যালয়সহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং কর্মীদের মধ্যে কর্ম চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছেন কোম্পানির মাঠকর্মীরা।

বিশ্বজিৎ কুমার মণ্ডল আরো বলেন, হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সুদিন ফিরে আসছে। খুব তাড়াতাড়ি গ্রাহকদের বীমা দাবি পরিশোধ করে তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন হোমল্যান্ড লাইফের এই মুখ্য নির্বাহী।