বীমার আওতায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালুর প্রথম বছরে ৫ মৃত্যুদাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালুর প্রথম বছরে ৫টি মৃত্যুদাবি উত্থাপন করা হয়েছে। অভিভাবকের মৃত্যুতে বীমার সুবিধা হিসেবে ওই ৫ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫শ’ টাকা। বীমাকারী প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০২১-২০২২ অর্থ বছরে চালু হওয়া এই শিক্ষা বীমার মাধ্যমে প্রথম দফায় দেশের ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে বীমা সুবিধা দেয়া হয়। বর্তমানে আরো ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে নতুন করে এই বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে গত ২০ ডিসেম্বর জীবন বীমা করপোরেশনে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রথম বছরের বীমায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মোট ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রিমিয়াম গ্রহণ করে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান জেবিসি।

বীমা চুক্তির এক বছরে ৫টি মৃত্যুদাবি উত্থাপন হয়। মোট বীমা দাবির পরিমাণ ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫শ’ টাকা। এরইমধ্যে বীমার টাকা গ্রাহকদের পরিশোধের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র সাথে সমন্বয়ের কথা জানিয়েছে জেবিসি।

একইসঙ্গে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বীমার আওতায় আসা বাকী ৪৯ হাজার ৯৯৫ শিক্ষার্থীর বীমা নবায়ন করার জন্য আইডিআরএ’কে চুক্তি অনুসারে প্রিমিয়াম পরিশোধের অনুরোধ জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান।

এ ছাড়াও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের জীবন বীমা করপোরেশন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে নির্ধারিত নতুন ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’র আওতায় আনতে আইডিআরএ’র কাছে তালিকা চেয়েছে জেবিসি।

উল্লেখ্য, ছোট শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে ২০২১ সালের ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ পরিকল্প উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিটি জেলা থেকে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় এবং দাখিল পর্যায়ের মাদারাসায় ৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে এই বীমা সুবিধা দেয়া হয়।

প্রতি মাসে ৫শ’ টাকা বৃত্তির জন্য বীমাকৃত ব্যক্তির বার্ষিক প্রিমিয়াম হার ৮৫ টাকা। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জীবন বীমা করপোরেশন (জেবিসি) । প্রথম দু’বছর এটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।