হোমল্যান্ড লাইফে ১০৪ কোটি টাকা লুটের অনুসন্ধান করবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক: হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে গ্রাহকদের জমা করা ১০৪ কোটি টাকা লুটের ঘটনা অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) । সংস্থাটির কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান গণমাধ্যমকে এই অনুসন্ধানের কথা জানিয়েছেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকের ১০৪ কোটি টাকা যেভাবে লুট হয়েছে হোমল্যান্ড লাইফে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি। দীর্ঘ এক যুগ অনুসন্ধানের পর প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে গ্রাহকদের জমানো টাকা কোম্পানির মালিকরা যেভাবে লুট করেছে সে বিষয়টি সবিস্তারে তুলে ধরে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি।

হোমল্যান্ড লাইফে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি অনুসন্ধান শুরু করে ২০১০ সালে। বিগত সময়গুলোতে নানাভাবে সংগ্রহ করা হয় দুর্নীতির নথিপত্র। আলাপ করা হয় সংশ্লিষ্টদের সাথে। ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র হাতে আসা নথিপত্র ও সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে গ্রাহকের শত কোটি টাকা লুটের তথ্য দিয়ে সাজানো হয় ওই প্রতিবেদন।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বীমা গ্রাহকদের জমানো টাকা লুট করতে হোমল্যান্ড লাইফের পরিচালকরা কোম্পানির নামে এমন জমি কিনেছেন, যার কোন অস্তিত্ব নেই। আবার অস্তিত্বহীন এই জমিতে বালু ফেলার খরচও দেখানো হয়েছে। জমি কেনার জন্য অগ্রিম দেয়া হয়েছে অথচ সেই জমি রেজিস্ট্রি হয়নি। ফেরত দেয়নি জমি কেনা বাবদ নেয়া অগ্রিম টাকা।

শুধু তাই নয়, কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারে অগ্রিম কমিশন ও বেতন-ভাতা পাঠিয়ে তা আবার নগদে তুলে নেয়া হয়েছে। এভাবেই হোমল্যান্ড লাইফে গ্রাহকের জমা করা টাকা থেকে লুট করা হয়েছে ১০৪ কোটি টাকা। এ লুটপাট হয়েছে ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ সালে। আর এ লুটপাটে জড়িত স্বয়ং কোম্পানির মালিকরাই।

এ ছাড়ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদি থাকার পরও গ্রাহকের টাকা উদ্ধারে ১০ বছরেও কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। উদ্ধার হয়নি কোন টাকাও। লুটপাটের এই ক্ষত নিয়েই চলছে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। এদিকে প্রতিনিয়তই হয়রানি, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কোম্পানিটির গ্রাহক, মাঠ কর্মীরা। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও গ্রাহকরা পাচ্ছে না মেয়াদ শেষে বীমা দাবির টাকা।

হোমল্যান্ড লাইফের গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র প্রকাশিত পুরো সংবাদটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন-

হোমল্যান্ড লাইফ থেকে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান ‘ইনকিলাব’কে জানিয়েছেন- “বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশ পেলে অভিযোগটি অবশ্যই অনুসন্ধান করা হবে। নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লুটপাট, পাচারের বিষয়টি দুদক কঠোর নজরদারিতে রেখেছে”।