২০২২ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে পুরনো ৭ কোম্পানির, নতুন ২টির
আবদুল্লাহ পাটোয়ারী: ২০২২ সালে সরকারি বেসরকারি ৯টি লাইফ বীমা কোম্পানির প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে। এর মধ্যে পুরনো কোম্পানি ৭টি ও নতুন কোম্পানি ২টি। এই ৯টি কোম্পানির প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ১৮৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
২০২২ সালে এই ৯টি লাইফ বীমা কোম্পানি সর্বমোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ১ হাজার ৮৭৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর আগে ২০২১ সালে এই সংগ্রহ ছিল ২ হাজার ৬৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে দাখিল করা লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর ২০২২ সালের ব্যবসা সমাপনী হিসাব প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
২০১৩ সালের আগে অনুমোদন পাওয়া সরকারি বেসরকারি ১৮টি লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে ৭টির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ১৮২ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
২০২২ সালে এই ৭ কোম্পানির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা ২০২১ সালে ছিল ২ হাজার ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমে যাওয়া পুরনো ৭ কোম্পানির মধ্যে-
প্রোগেসিভ লাইফের প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ, সানলাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ১০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা ১০ শতাংশ, প্রাইম ইসলামী লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ১৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা বা ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ, মেঘনা লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা ৪ দশমিক ১২ শতাংশের বেশি;
রুপালী লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ৩৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, হোমল্যান্ড লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ৪২ কোটি ১৯ লাখ টাকা বা প্রায় ৪৩ শতাংশ এবং ফারইস্ট ইসলামী লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ৫৩ কোটি ৭ লাখ টাকা বা প্রায় ৮ শতাংশ।
২০১৩ সালের পরে নতুন অনুমোদন পাওয়া ১৭টি লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে ২টি কোম্পানির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।
২০২২ সালে এই ২ কোম্পানির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ২৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যা ২০২১ সালে ছিল ৩২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমে যাওয়া ২ কোম্পানির মধ্যে ডায়মন্ড লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ২৮ লাখ টাকা বা প্রায় ২ শতাংশ এবং স্বদেশ লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বা ১৯ দশমিক ২১ শতাংশ।