হিসাব সমাপনী ২০২২

১৮ বীমা কোম্পানির লাইফ ফান্ড বেড়েছে ১১শ’ কোটি টাকা

আবদুর রহমান আবির: দেশের লাইফ বীমা খাতে সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছর ২০২২ সালে ১৯টি কোম্পানির লাইফ ফান্ড বেড়েছে ১১শ’ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ৪টি পুরনো এবং নতুন অনুমোদন পাওয়া ১৫টি বীমা কোম্পানি। কোম্পানিগুলোর সর্বমোট লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে দাখিল করা লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর ২০২২ সালের ব্যবসা সমাপনী হিসাব প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।

হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি লাইফ ফান্ড বেড়েছে ন্যাশনাল লাইফের, ৩৮৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। বর্তমানে ন্যাশনাল লাইফের মোট লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৪ হাজার ৭৭৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। লাইফ ফান্ড বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সোনালী লাইফ। ২০২২ সালে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড বেড়েছে ২৭৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। বর্তমানে সোনালী লাইফের মোট লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৫৭১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বীমা করপোরেশন ২০২২ সালে লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি করেছে ১৫৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। বর্তমানে জীবন বীমা করপোরেশনের লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ২ হাজার ৪৭৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এ ছাড়াও ২০২২ সালে ৮৫ কোটি টাকা লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি করেছে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির বর্তমান লাইফ ফান্ড ৩৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

৫১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি করে ৫ম স্থানে রয়েছে আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ২০২২ সালে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২২ সালে ৫১ কোটি টাকার লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৪ হাজার ৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

৩০ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি করেছে মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ২০২২ সালে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড ৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২২ সালে ১৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৪৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

নতুন অনুমোদন পাওয়া এনআরবি ইলামিক লাইফের ২০২২ সালে শুরুতে লাইফ ফান্ডে ঘাটতি ছিল ৮৬ লাখ টাকা, বছর শেষে কোম্পানিটির লাইফ দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৯ লাখ টাকা। ২০২২ সালে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স নতুন লাইফ ফান্ড গঠন করেছে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ৬১৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

দেশী-বিদেশী যৌথ মালিকানার এলআইসি বাংলাদেশ ২০২২ সালে লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি করেছে ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির বর্তমান লাইফ ফান্ড ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২২ সালে লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি করেছে ৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির বর্তমান লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।    

নতুন অনুমোদন পাওয়া আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লাইফ ফান্ডে ঘাটতি ছিল ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ২০২২ সাল শেষে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের ঘাটতি পূরণ হয়ে ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালে বেঙ্গল ইসলামী লাইফ নতুন লাইফ ফান্ড গঠন করেছে ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২২ সালে নতুন লাইফ ফান্ড গঠন করেছে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২২ সালে লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি করেছে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

নতুন অনুমোদন পাওয়া আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২২সালে লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি করেছে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ২০২২ সালে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি করেছে ৪৩ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৭ কোটি ৪ লাখ টাকা।

অন্যদিকে যমুনা লাইফ ২০২২ সালে ৮৯ লাখ টাকা লাইফ ফান্ডে যুক্ত করলেও ঘাটতি থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেনি। ২০২১ সালে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে ঘাটতি ছিল ৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ২০২২ সাল শেষে এই ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।