কমেছে বীমা দাবি পরিশোধের হার, অনিষ্পন্ন ১১ লাখ ৩৬ হাজার গ্রাহকের দাবি
আবদুর রহমান আবির: ২০১৮ সালের পর প্রায় ধারাবাহিকভাবেই কমেছে দেশের লাইফ বীমা খাতে দাবি পরিশোধের হার। উত্থাপিত বীমা দাবির তুলনায় পরিশোধিত দাবির সংখ্যা ও টাকার অংক উভয়ের হার-ই রয়েছে নিম্নমুখী। গেলো ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হারে বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে ২০২২ সালে।
এমন-ই চিত্র উঠে এসেছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে। গত ৩০ মার্চ ‘লাইফ বীমাকারীর তথ্য (২০১৮-২০২২)’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ৫ বছরের এই প্রতিবেদনে ২০২১ ও ২০২২ সালের তথ্য অনিরীক্ষিত।
তথ্য অনুসারে, লাইফ বীমা খাতে ২০২২ সালে ৩০ লাখ ২৮ হাজার ৯৩০ গ্রাহকের বীমা দাবি উত্থাপন হয়; যার আর্থিক মূল্য ১৩ হাজার ৮২৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৯৯২টি বীমা দাবি বাবদ ৯ হাজার ২৫৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়।
এই হিসাবে ২০২২ সালে লাইফ বীমায় ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৩৮ গ্রাহকের বীমা দাবি অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব গ্রাহকের পাওনা ৪ হাজার ৫৬৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৬২.৫০ শতাংশ দাবি পরিশোধ করা হয়েছে, আর অনিষ্পন্ন রয়েছে ৩৭.৫০ শতাংশ বীমা দাবি।
এর আগে ২০১৮ সালে দেশের লাইফ বীমা খাতে দাবি পরিশোধের হার ছিল সংখ্যায় ৮৯.৩৯ শতাংশ ও টাকার অংকে ৮৮.৮৮ শতাংশ।
২০১৮ সালে উত্থাপিত ২৪ লাখ ২৬ হাজার ৬৩৭টি বীমা দাবির মধ্যে পরিশোধ করা হয় ২১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৬টি। সে বছর উত্থাপিত দাবির পরিমাণ ৭ হাজার ৩৩২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং পরিশোধিত দাবির পরিমাণ ৬ হাজার ৫১৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
এ ছাড়াও ২০১৯ সালে ৬ হাজার ৫০৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৮১৬টি বীমা দাবি উত্থাপন হয়। এর মধ্যে ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ১৪৬টি বীমা দাবি বাবদ ৭ হাজার ২৬৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। দাবি পরিশোধের হার- সংখ্যায় ৮৮.৮৮ শতাংশ ও টাকায় ৮৯.৫৫ শতাংশ।
২০২০ সালে উত্থাপিত ১৯ লাখ ৭ হাজার ৫৫৯টি বীমা দাবির মধ্যে পরিশোধ করা হয় ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৯১৬টি; পরিশোধের হার ৮৪.৮২ শতাংশ। আলোচ্য বছরে উত্থাপিত মোট দাবির পরিমাণ ৭ হাজার ৯২৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা এবং পরিশোধ ৬ হাজার ৭৪১ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা ৮৫.০৮ শতাংশ।
২০২১ সালের অনিরীক্ষিত হিসাবে উত্থাপিত মোট দাবির সংখ্যা ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৪১০টি এবং পরিশোধ ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪৩টি বা ৭০.৪০ শতাংশ। আলোচ্য বছরে উত্থাপিত মোট দাবির পরিমাণ ১১ হাজার ২২৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং পরিশোধ ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা ৬৮.৮২ শতাংশ।