সোনালী লাইফের সুনাম ক্ষুন্ন করতে ফেসবুকে অপপ্রচার, থানায় জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সুনাম ক্ষুন্ন করতে ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই অভিযোগে বীমা কোম্পানিটির একজন কর্মকর্তা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। গত সোমবার (৮ মে) রাজধানীর রামপুরা থানায় এই সাধারণ ডায়েরি করা হয়, যার নম্বর ৪৬৬। রামপুরা থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জিডি’র তথ্য মতে, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্যাড ব্যবহার করে এবং কোম্পানির প্রোডাক্টের বিষয়গুলো ব্যবহার করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন মো. কামাল হোসেন নামের একজন বীমা কর্মী; যিনি চিটাগাং রোডে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এএমডি পদে কর্মরত। ‘ইন্স্যুরেন্স, ব্যাংকিং এন্ড ফাইন্যান্স সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ নামক ফেসবুক পেইজে তিনি নিজের আইডি থেকে এ সংক্রান্ত পোস্ট করেছেন।

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র অফিসার নাঈমুর রহমান গত ৬ মে বিকালে অফিসে বসে নিজের মোবাইলের ফেসুবক আইডিতে প্রবেশ করে কামাল হোসেনের ওই পোস্ট দেখতে পান। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্ত না থাকায় আপাতত বিষয়টি তিনি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করেন। ভবিষ্যতে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মামলা করার জন্য পুনরায় আবেদন করবেন বলেও উল্লেখ করেছেন জিডিতে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের লোগো ব্যবহার করে ‘ইন্স্যুরেন্স, ব্যাংকিং এন্ড ফাইন্যান্স সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি ফেসবুক পেইজ (পাবলিক গ্রুপ) খোলা হয়েছে। পেইজটি পরিচালনায় এডমিন হিসেবে রয়েছে ৫টি ফেইসবুক আইডি; যাদের একজন গ্রুপ এক্সপার্ট। পেইজটিতে মডারেটরের সংখ্যা রয়েছে ৪১টি। এসব মডারেটরের একজন অভিযুক্ত কামাল হোসেন। বর্তমানে পেইজটির সদস্য সংখ্যা ২৩ হাজার ৭৮১। 

অভিযোগের বিষয়ে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমান বলেন, আমাদের কোম্পানির সুনাম নষ্ট করার জন্য কিছু ব্যক্তি বানোয়াট তথ্য দিয়ে সাজানো বিভিন্ন ডকুমেন্টস প্রচার করছে। নিয়মিতভাবেই তারা এটা করে আসছে। বানোয়াট এসব ডকুমেন্টস সোনালী লাইফের নয় এবং আমাদের সাথে এগুলোর কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের কোম্পানির পারফরমেন্সকে ডিসক্রেডিট করা জন্য ওরা এসব বানাচ্ছে।

অভিযুক্ত কামাল হোসেন বলেন, সোনালী লাইফের নামে প্রচারিত এই লিফলেট আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কারো আইডি থেকে পেয়েছি। তবে কবে এবং কোন আইডি থেকে পেয়েছিলাম তা আমার মনে নেই। মূলত এই লিফলেটের সত্যতা সম্পর্কে জানতে এবং এ ধরণের লিফলেটের বিষয়ে কোম্পানির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আমি এটি গ্রুপে পোস্ট করেছি। এখানে আমার কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। বিষয়টিকে যদি সংশ্লিষ্টরা নেতিবাচক মনে করে তাহলে প্রয়োজনে আমি আমার পোস্ট সরিয়ে নেবো।

তিনি বলেন, একজন বীমা কর্মী হয়ে আমি কোন কোম্পানির নামে মিথ্যা তথ্য ছড়াতে পারি না। কারণ, দিনশেষে সেটি আমার কোম্পানিরও বাজার ক্ষতি করতে পারে।  তাছাড়া কোন ব্যক্তি বীমা নিয়ে ভূয়া বা মিথ্যা তথ্য ছড়ালে তা বন্ধ করা অথবা সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কর্তৃপক্ষের নজরে আনা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলেই মনে করি। কোম্পানিটির সাথে সরাসরি যোগাযোগের সময়-সুযোগ না পাওয়ায় আমি ফেসবুকের মাধ্যমে সন্দেহজনক এসব তথ্য সংশ্লিষ্টদের নজরে আনার চেষ্টা করেছি।

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাধারণ ডায়েরি’র বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ও জিডি’র তদন্ত কর্মকর্তা মো. ওয়ালী উল্লাহ বলেন, গতকালই বিষয়টি ডায়েরিভুক্ত করা হয়েছে। সময়মতো এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।