গ্রাহকদের দায়-দেনা পরিশোধ না করে আমরা কোম্পানি ছাড়ব না: বিশ্বজিৎ কুমার মণ্ডল
নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহকদের দায়-দেনা পরিশোধ না করে আমরা এই কোম্পানি ছেড়ে যাব না –এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার মণ্ডল। তিনি বলেন, মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়কে অনুরোধ করবো হোমল্যান্ড লাইফের গ্রাহক আমানত রক্ষায় তিনিও আমাদের সাথে এই অঙ্গীকার করবেন এবং আমাদের এই অঙ্গীকারের সাথে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকবেন।
এ সময় বিশ্বজিৎ কুমার মণ্ডলের অঙ্গীকারের সাথে হাত তুলে একমত পোষণ করেন সারাদেশ থেকে আগত বীমা কোম্পানিটির প্রায় ৬শ' মাঠকর্মী।
শনিবার (২৭ মে) কক্সবাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন বীমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফরিদুল আলম।
বিশ্বজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, গত বছরের মে থেকে এ বছরের মে পর্যন্ত ৪৫ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে কোম্পানির এফডিআর থেকে। বাকী টাকা ব্যবসা সংগ্রহ করে নবায়ন প্রিমিয়াম আয় থেকে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বীমা দাবি পরিশোধ ত্বড়ান্বিত করতে ২০২৩ সালে আমাদের প্রিমিয়াম আয়ের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, গত এক বছরে আমাদের মাঠকর্মীর সংখ্যা দেড় হাজার বেড়েছে। বর্তমানে আমাদের মাঠকর্মীর সংখ্যা ৪ হাজারের উপরে। আগামী এক বছরে তা বেড়ে ১০ হাজার হবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য। এ বছর ১ম কোয়ার্টারে ৯ কোটি টাকা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩ কোটি টাকা কোম্পানির ফান্ড থেকে, বাকী টাকা নবায়ন প্রিমিয়াম আয় থেকে।
হোমল্যান্ড লাইফের এই মুখ্য নির্বাহী বলেন, কর্মীদের জন্য ইনসেনটিভ চালু করা হয়েছে। এই পুরস্কার এর আগে ছিল না। আমরা এটা চালু করেছি; এর ফলাফলও পেয়েছি। কোম্পানির কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে আমরা 'হোমল্যান্ড বার্তা' করেছি। আপনাদের সহযোগিতা বেশি থাকলে আরো ভালো হত। এই হোমল্যান্ড বার্তা হবে আমাদের মাঠ কর্মীদের প্রতিচ্ছবি।
তিনি আরো বলেন, আমরা ওরাকল ইআরপি সফটওয়্যার চালু করেছি। আমাদের মোবাইল অ্যাপস খুব শিগগিরই চালু হবে। আমরা প্রধান কার্যালয়ে ট্রেনিং সেন্টার চালু করেছি।
মাঠ কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই কোম্পানিতে যারা স্থায়ী কর্মকর্তা তাদের জন্য প্রভিডেন্ড ফান্ড ও গ্রাচুইটি রয়েছে। আমি চাই আপনারা সবাই এই সুবিধা নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। আমাদের নবায়ন প্রিমিয়াম ৭০ শতাংশ করতে হবে। না হলে ১ম বর্ষের ইনসেনটিভ পাবেন না।
বিশ্বজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, আমাদেরকে গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। এ জন্য নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ ৭০ শতাংশ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, হোমল্যান্ড লাইফ মাঠ কর্মীদের যেসব সুযোগ সুবিধা দেয় তা বেশিরভাগ কোম্পানিতে নেই। তাহলে কেন এই কোম্পানিতে আপনারা কাজ করবেন না!
আমরা বীমা খাতে নতুন যুগের সূচনা করবে। ২৩ বছরে এই কোম্পানি আইপিওতে যেতে পারেনি। আমরা খুব শিগগিরই কোম্পানিকে আইপিওতে নিয়ে যাব, বলেন হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এই মুখ্য নির্বাহী।