মানুষের কল্যাণের জন্য আমরা কাজ করছি: এস এম নুরুজ্জামান
নিজস্ব প্রতিবেদক: বেকারত্ব বিমোচনে বীমার গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেছেন, মানুষের কল্যাণের জন্য আমরা কাজ করছি। এতিম ও বিধবাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা কাজ করছি।
বীমা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মিথ্যা কথা বলে বা প্রতারণা করে কোন বীমা পলিসি বিক্রি করবেন না। বীমা পলিসি চালাতে পারবে না বা নবায়ন আসবে না, এমন কাউকে বীমা পলিসি করাবেন না। মনে রাখবেন- একটি ভালো পলিসি আপনাকে নতুন আরেকটি পলিসি সংগ্রহে সহায়তা করবে।
শনিবার (১৫ জুলাই) বীমা কোম্পানিটির অর্ধ-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন এস এম নুরুজ্জামান। রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান এ টি এম এনায়েত উল্লাহ; পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ; অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলীল; পরিচালক জামিল আনসারী; নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মানসুদ আলম প্রমুখ।
এস এম নুরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের যত বীমা কোম্পানি আছে তার মধ্যে আমাদের কোম্পানির পরিচালকমণ্ডলী স্বচ্ছভাবে কাজ করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি খুব তাড়াতাড়ি আইপিওতে যাওয়ার জন্য। এজন্য নবায়ন ব্যবসার প্রতি আমাদের আরো জোর দেয়া জরুরি।
তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, আমরা জেনিথ ইসলামী লাইফ এ পর্যন্ত ১৮ কোটি ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৩১ টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করেছি। বর্তমানে আমাদের হাতে কোন বীমা দাবি পেন্ডিং নেই। আমাদের কোম্পানির প্রায় ৩০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। বর্তমানে আমাদের লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
আমরা এখন পর্যন্ত ১৮০টি মৃত্যুদাবি বাবদ ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা, ৩ হাজার ৫৪৫টি এসবি বাবদ ১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, ৭৭৮টি স্বাস্থ্য বীমা বাবদ ৭১ লাখ ১২ হাজার টাকা, ম্যাচিউরিটির ২৭টি বীমা দাবি বাবদ ৫৮ লাখ টাকা এবং ১৪৪টি সারেন্ডারে ৩৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। এছাড়াও ৪১টি পলিসি লোন দেয়া হয়েছে, যার পরিমাণ ২১ লাখ টাকা।
জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী আরো বলেন, আমাদের কোম্পানির ৯০ শতাংশ কার্যক্রম ইআরপি সল্যুশনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের কার্যক্রমের ৯৯ শতাংশ-ই পেপারলেস করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। বীমা আইনে ৯০ দিন থাকলেও আমরা ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছি।
এস এম নুরুজ্বজামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিণির্মানে বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে বীমা কোম্পানির মধ্যে আমরাই প্রথম বাংলায় ওয়েবসাইট চালু করি এবং গ্রাহকের সুবিধার জন্য বাংলায় অ্যাপস চালু করি। আমাদের প্রত্যেকটি অফিসে অনলাইনে পিআর কাটা হয় এবং গ্রাহক সাথে সাথে এসএমএস পায়। আমরা এ বছর বোর্ড প্রদেয় ১ম বর্ষ ও নবায়ন লক্ষ্যমাত্রার ১০০ শতাংশ অর্জন করবো ইনশা-আল্লাহ।
তিনি বলেন, আমাদের সক্ষমতা আছে বলেই বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর গ্রুপ জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা সেবা দিয়ে আসছি। ইতোমধ্যে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি অন্যতম।
বীমা কর্মীদের উদ্দেশ্যে এস এম নুরুজ্জামান বলেন, এ বছর আপনাদের জন্য ওমরা হজ্ব প্যাকেজ, নেপাল ভ্রমণ, কক্সবাজার আনন্দ ভ্রমণ, চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ডসহ নানা ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ডেফার্ড ও নবায়ন প্রিমিয়ামের টাকা নগদ ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিলে আমাদের অফিস থেকে আর রশিদ নিতে হবে না; তা সরাসরি গ্রাহকের পলিসি হিসাবে জমা হবে।
তিনি আরো বলেন, গ্রাহক কোম্পানির ১৪টি ব্যাংক একাউন্টে তার প্রিমিয়াম জমা দিতে পারবেন। বিকাশ, রকেট ও কোম্পানির নামে একাউন্ট পেয়ী চেকের মাধ্যমে টাকা জমা দিবেন। আমাদরে গ্রাহকের দাবির (এসবি) টাকা বিইএফটিএন এর মাধ্যমে তাদের ব্যাংক হিসাবে সরাসরি জমা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের এফএ থেকে সকল কর্মী-কর্মকর্তাদের সামান্য প্রিমিয়ামের বিপরীতে গ্রুপ ও হেলথ বীমা সুবিধা দিচ্ছি।