আপামর জনসাধারণের জন্য বীমার কোন বিকল্প নেই: মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আপামর জনসাধারণের জন্য বীমার কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নয়নের মহীসোপানে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে সকলের জন্য তখন বীমা প্রয়োজনীয়তা অনুভব হচ্ছে।

শনিবার (১৫ জুলাই) জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অর্ধ-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী।রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (লাইফ) কামরুল ইসলাম।

ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কঠোর মনিটরিং এর ফলে গ্রাহক ভোগান্তি আগের চেয়ে বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। কোম্পানিগুলো এখন নিয়মিত দাবি পরিশোধ করছে। ফলে বীমার প্রতি গ্রাহক আস্থা আগের চেয়ে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৫টি জীবন বীমা কোম্পানি কাজ করছে। এর মধ্যে যারা সর্বোত্তম সেবা দিতে পারবে তারাই এগিয়ে যাবে। সর্বদা গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে আমরা দ্রুত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত এবং দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ করে ইতোমধ্যেই গ্রাহকের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছি।

ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, আপনারা জেনে খুশী হবেন সরকারী ট্রেজারী বন্ডে আমাদের বিনিয়োগ রয়েছে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এফডিআর রয়েছে ২৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। শেয়ার বাজারে আসার প্রাথমিক শর্ত হিসেবে ইতোমধ্যে আমরা উদ্যোক্তা অংশের সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্পন্সর শেয়ার বিক্রি করেছি। আমাদের পরিশোধিত মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলেছে। আশাকরি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শেয়ার বাজারে আসার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

বীমাকর্মী ও কমকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ক্লোজিং শেষ হতে আর মাত্র ৬ মাস সময় বাকী আছে। আপনাদের সকলের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে অবশিষ্ট দিনগুলো কঠোর পরিশ্রম করে আপনারা আপনাদের ও কোম্পানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সচেষ্ট হবেন। বিশেষ করে নবায়ন প্রিমিয়াম আদায় যেন শতভাগ হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। মান সম্পন্ন পলিসি বিক্রির দিকে নজর দিতে হবে, যাতে কোনভাবেই পলিসি তামাদি হয়ে না যায়। মনে রাখবেন একটি ভালো পলিসি আপনাকে নতুন আরেকটি পলিসি সংগ্রহের রসদ যোগাবে।