আকার বাড়ছে স্বল্প অংকের বীমা দাবির
নিজস্ব প্রতিবেদক: সংশোধনী আনা হচ্ছে স্বল্প অংকের বীমা দাবির পরিমাণ নির্ধারণ বিধিমালা- ২০১৮ তে। এই সংশোধনীর ফলে লাইফ বীমার ক্ষেত্রে স্বল্প অংকের বীমা দাবির পরিমাণ হবে ৫ লাখ টাকা এবং নন-লাইফে হবে ২০ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই বিয়য়টি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে লাইফ বীমার ক্ষেত্রে স্বল্প অংকের বীমা দাবির পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার টাকা, যা ছিল নিশ্চিতকৃত লাভ বা বোনাস নয় এমন লাভ বা বোনাস ব্যতিত মৃত্যুদাবি বা মেয়াদপূর্ণ দাবি।
অন্যদিকে নন-লাইফ বীমার ক্ষেত্রে স্বল্প অংকের বীমা দাবির পরিমাণ ছিল ৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ইস্যুকৃত সকল উপ-শ্রেণীর বীমা দাবি এর অন্তর্ভূক্ত।
“স্বল্প অংকের বীমা দাবির (পরিমাণ নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৮” এর ৩(ক) বিধিতে এ বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার বিধিমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করে।
ওই বিধিমালার ৪ –এ উল্লেখ করা হয়েছে, বিধি ৩ দ্বারা নির্ধারিত স্বল্প অংকের বীমা দাবি সংক্রান্ত কোন বিরোধ দেখা দিলে তা বীমা আইন, ২০১০ এর ৭১ ধারার বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি করতে হবে।
এক্ষেত্রে বিরোধীয় দাবির দশমিক ৫০ শতাংশ ফি পরিশোধ করতে হবে বলে বিধি ৫ –এ উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বল্প অংকের লাইফ বীমা এবং নন-লাইফ বীমা দাবি সংশ্লিষ্ট বিরোধের বিষয়ে বীমা আইন ২০১০ এর ৭১ ধারায় বলা হয়েছে-
(১) বিধি দ্বারা নির্ধারিত স্বল্প অংকের দায় সম্বলিত (নিশ্চিতকৃত লাভ বা বোনাস নয় এরূপ লাভ ও বোনাস ব্যতিরেকে) লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি বা বাংলাদেশে লেনদেন হওয়া কোন বীমা ব্যবসায় সম্পর্কিত কোন নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির দাবির পরিমাণ সম্পর্কে কোন বিরোধ দেখা দিলে দাবিদার ইচ্ছা করলে তা নিষ্পত্তি করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করতে পারে।
এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শোনার পর এবং নিজের একক সূক্ষ বিচারে, প্রয়োজনীয় বিবেচিত সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণের পর বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারবে।
(২) এই ধারার অধীন গৃহীত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বিবেচিত হবে এবং এই সিদ্ধান্তকে কোন আদালতে প্রশ্নের সম্মুখীন করা যাবে না এবং এরূপ সিদ্ধান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করার উপযুক্ত কোন আদালতের রায় বলে বিবেচিত হবে এবং তদনুযায়ী কার্যকর করা হবে।
(৩) কর্তৃপক্ষ এই ধারার অধীন কর্তব্য পালনের জন্য নির্ধারিত শতকরা হারে বা অন্য কোন প্রকারে ফি ধার্য ও আদায় করবে।