২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন

সোনালী লাইফের প্রিমিয়াম সংগ্রহ ৩৪৭ কোটি টাকা, লাইফ ফান্ড বেড়েছে ১৮৭ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে প্রায় ৩৪৭ কোটি টাকার গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। এ সময় কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে নতুন তহবিল যুক্ত হয়েছে ১৮৭ কোটি টাকা। কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত ষান্মাসিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে সোনালী লাইফের গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ ৩৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর আগে ২০২২ সালের প্রথম ৬ মাসে কোম্পানিটির গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ২৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

এই হিসাবে ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে কোম্পানিটির গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ১১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা ৪৭ শতাংশ।

২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে সোনালী লাইফের গ্রুপ ও একক বীমার ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৯৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর আগে ২০২২ সালে যা ছিল ১৪০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ বৃদ্ধি ৫৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ৪০ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির দ্বিতীয় ও তদুর্ধ্ব বর্ষের নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ ১৫০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৯৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এই হিসাবে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৫৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, যা ৫৮ শতাংশ।

২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে সোনালী লাইফের লাইফ ফান্ড বেড়েছে ১৮৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এতে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

এর আগে বছরের একই সময়ে লাইফ ফান্ড বেড়েছিল ১০২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সে সময় মোট লাইফ ফান্ড ছিল ৪শ’ কোটি টাকা। ২০২২ সাল শেষে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ছিল ৫৭১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপনী হিসাবে দেশের লাইফ বীমা খাতে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ বৃদ্ধিতে শীর্ষ অবস্থানে ছিল সোনালী লাইফ। কোম্পানিটি সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছরে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ বৃদ্ধি করে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা। এর আগে ২০২১ সালেও কোম্পানিটি প্রায় ১২৪ কোটি টাকা নতুন প্রিমিয়াম বৃদ্ধি করে লাইফ বীমা খাতে শীর্ষ অবস্থানে ছিল।

এ বিষয়ে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) মীর রাশেদ বিন আমান বলেন, আমাদের কোম্পানি শুরু থেকেই গ্রাহকসেবাকে প্রাধান্য দিয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা ও প্রয়োজনকে সামনে রেখেই ডিজাইন করা হয়েছে কোম্পানির সবগুলো বীমা পরিকল্প। একইসঙ্গে সর্বাধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজতর করা হয়েছে গ্রাহকসেবা।

তিনি বলেন, আমাদের কোম্পানির অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রতিষ্ঠার ১০ বছরে প্রত্যেকটা বীমা দাবি ৭ দিনের মধ্যেই পরিশোধ করা হয়েছে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত আমাদের কোন বীমা দাবি পেন্ডিং নেই; শতভাগ বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। তাই আমাদের গ্রাহকরা আমাদের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট। আর এই গ্রাহক সন্তুষ্টি-ই মূলত সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।